ধান বিচারপতি এস কে সিনহা আজ স্থানীয় সময় বেলা চারটায় চায়না-সাউথার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে টরন্টোতে পৌঁছেছেন। ছুটি শেষে সিনহার দেশে ফেরার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ায় বড় মেয়ে সূচনা সিনহার কাছ থেকে কানাডায় বসবাসরত ছোট মেয়ে কন্যা আশা সিনহার কাছে চলে আসেন। আসার পথে তিনি সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
জানা গেছে, সিনহা স্থায়ীভাবে বিদেশে থাকার জন্য অস্ট্রেলিয়া, কানাডা এমন কি যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো সুবিধাজনক জায়গা খুঁজছেন। তবে একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, যেহেতু মেয়ে কানাডার ম্যানিটোবায় থাকেন, সেই দিক বিবেচনা করে এখানেই থাকবেন এবং রাজনৈতিক আশ্রয় নিবেন! তবে তিনি এখনো ম্যানিটোবায় যাননি। সিনহা টরন্টোতেই অবস্থান করলেও তাঁর স্ত্রী সুষমা সিনহা ঢাকায় রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে সিনহা ব্যক্তিগত সফরে কানাডায় এসেছিলেন মেয়ের কাছে।
পুর্বপশ্চিম
রাষ্ট্রপতির হাতে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগপত্র
বিদেশে অবস্থানরত প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করেছেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে সিঙ্গাপুর থেকে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের কাছে পাঠানো পদত্যাগপত্রটি বঙ্গভবনে পৌঁছেছে বলে গণম্যামকে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব।
এর আগে শুক্রবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে কানাডা যাওয়ার আগে তিনি পদত্যাগপত্রে সই করেছেন বলে তার ছোট ভাই নরেন্দ্র কুমার সিনহা শুক্রবার রাতে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন।
এর আগে ১৩ অক্টোবর রাতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি সিনহা। ওই দিন মিডিয়ার সামনে তিনি বলেন, ‘আমি অসুস্থ না। আমি পালিয়েও যাচ্ছি না। আমি আবার ফিরে আসব। আমি একটু বিব্রত। আমি বিচার বিভাগের অভিভাবক। বিচার বিভাগের স্বার্থে, বিচার বিভাগটা যাতে কলুষিত না হয়, এ কারণেই আমি সাময়িকভাবে যাচ্ছি।’
অস্ট্রেলিয়ায় তার বড় মেয়ে সূচনা সিনহার বাসায় বেশ কিছুদিন অবস্থান করেন এসকে সিনহা। এরপর তিনি চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে যান। সেখানে ৪ দিন চিকিৎসা শেষে তার দেশে ফেরার কথা ছিল।
জানা গেছে, সিনহা শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চায়না-সাউথার্ন এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশে রওনা দেন। কানাডায় তার ছোট মেয়ে বসবাস করছেন। এর আগে শুক্রবার রাতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা ছুটির মেয়াদ না বাড়ানোর ফলে শনিবার থেকে তিনি অনুপস্থিত হিসেবে গণ্য হবেন। এক্ষেত্রে সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যিনি কর্মে প্রবীণ তিনিই অনুরূপ কার্যভার পালন করবেন।
উৎস: শীর্ষ নিউজ