mirja_bnp

কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে চীন গেলেন মির্জা ফখরুল

চীনা কমিউনিস্ট পার্টির আমন্ত্রণে এক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে দেশটির উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের ইস্টার্ন এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।

বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাজনীতিবিদরা এ সেমিনারে অংশ নেবেন। আগামী ৩০ নভেম্বর শুরু হয়ে ওই আন্তর্জাতিক সেমিনার চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

শায়রুল জানান, মির্জা ফখরুলের সফরসঙ্গী হিসেবে সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ ও আইনজীবী আসাদুজ্জামান রয়েছেন। সেমিনার শেষে আগামী ৪ ডিসেম্বর মির্জা ফখরুল দেশে ফিরে আসবেন।

খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। পুরান ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে অস্থায়ী এ আদালত বসেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, এই দুই মামলায় খালেদা জিয়া আজ পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে ছিলেন। কিন্তু তিনি আজ আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাঁর জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন। দুই মামলায় তাঁর আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য দেওয়ার দিন ধার্য ছিল আজ।

ওই আদালতের পেশকার মোকাররম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আগামী ৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত। আর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাফাই সাক্ষ্যের জন্য একই দিন ধার্য আছে।

যোগাযোগ করা হলে বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানিয়েছেন, আগামী শুনানির দিনে খালেদা জিয়া অবশ্যই আদালতে হাজির হবেন।

২৩ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে পঞ্চম দিনের মতো বক্তব্য তুলে ধরেন খালেদা জিয়া। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেন।

মামলা দুটি দুদকের করা। খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে মোট ৩৭টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় দুর্নীতির অভিযোগে করা। দুর্নীতির মামলাগুলো বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় করা। বাকি মামলাগুলো গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, হত্যা, মানহানি ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে করা হয়েছে।

২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়া, তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এর মধ্যে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আর ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আসামি হলেন খালেদা জিয়াসহ চারজন।

সূত্র: প্রথম আলো

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin