khaleda_zia

কঠিন সময় পার করছেন খালেদা জিয়া

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক জীবনে সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছেন। এরশাদ বিরোধী স্বেরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় কিছুদিন গৃহবন্দি থাকলেও এবারও প্রথম দুনীতির একাধিক মামলায় বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন।

জিয়া অরফারেনজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীতিসহ রাষ্ট্রদ্রোহ, নাশকতাসহ একাধিক মামলা তার বিরুদ্ধে বিচারাধীন। বিশেষ করে জিয়া অরফারেনজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীতি মামলা বিচার কার্য় প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

এ দু্টি মামলায় গত ১৯, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর টানা তিনদিন বকশীবাজারের বিশেষ জজ আদালতে তিনি যুক্তিতকে আদালতে হাজিরা দিয়েছেন। আগামীকাল মঙ্গলবারও তার আদালতে হাজিরা দেয়ার কথা রয়েছে। এরপর পরপর দুইদিন অর্থাৎ আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবারও তার আদালতে শুনানির দিন ধার্য় রয়েছে।

জিয়া অরফারেনজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীতি মামলায় ইতিমধ্যে আত্মপক্ষ সর্মথন করে খালেদা জিয়া বলেছেন, এসব মামলার অভিযোগ থেকে তিনি খালাস পাওয়ার যোগ্য। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে তার বিচার বিশেষ আদালতে করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করে, আগামী নির্বাচন থেকে দুরে রাখতেই যেনতেন ভাবে সরকার খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার চেষ্টা করছে। দলটির শীর্ষ পর্য়ায়ের নেতারাও এমন অভিযোগ করে আসছেন। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলছে। এখানে কেউ হস্তক্ষেপ করছে না।

জিয়া অরফারেনজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুনীতির দুই মামলায় বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পরিণতি কি হয় তা নিয়ে দল ও দলের বাইরে মানুষের ব্যাপক কৌতুহল রয়েছেন।রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, এই দুটি মামলায় নিম্ন আদালতে খালেদা জিয়ার খালাস পাওয়া কঠিন হবে।

কারণ মামলা দুইটির বিচার কার্য় যে গতিতে চলছে তাতে এর পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলেই মানুষ ধারণা করছে।এদিকে রাজনৈতিক ও আইনিভাবে খালেদা জিয়ার মামলা মোকাবেলার প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। আইনিভাবে নিম্ন আদালত থেকে উচ্চ আদালত সব জায়গায় দলটি তাদের চেয়ারপারসনের জন্য সবোচ্চ আইনি লড়াই চালিয়ে যাবে।

পাশাপাশি রাজপথেও আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। খালেদা জিয়ার সাজা হলে আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি রাজপথেও কঠোর কর্মসূচী দেয়া হবে বলে জানিয়েছন দলটির নীতি নির্ধারকরা।

মামলা মোকাবেলা ছাড়াও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আগামী জাতীয় নির্বাচন একটি গ্রহণযোগ্য সরকারের অধীনে আয়োজন করার দাবী আদায় করতে হবে। আপাতত দৃষ্টিতে মনে হচ্ছে ক্ষমতাসীন সরকার বিএনপির সেই দাবী সহজে মেনে নেবে না।

নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপি আলোচনার প্রস্তাব দিলেও আওয়ামী লীগ তা বারবার নাকচ করে আসছে। সর্বশেষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ঠ করে বলে দিয়েছেন, নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনার সুযোগ নেই। আলোচনা হবে না। এমন পরিস্থিতিতে বেগম খালেদা জিয়া কিভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবী আদায় করবেন তা এখন দেখার পালা।

purboposhchim

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin