ওবায়দুল কাদের বিএনপিরও নীতিনির্ধারক!

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন-বেগম খালেদা জিয়া জেলে থাকলেও বিএনপি নির্বাচনে যাবেই। ওবায়দুল কাদের কখনো কখনো এমনভাবে কথা বলেন যেন তিনি একদিকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অন্যদিকে বিএনপিরও নীতিনির্ধারক!

মাঝে মাঝে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমন উদ্ভট, অবাস্তব ও বানোয়াট কথা বলেন যার ফলে মানুষের কাছে হাসির পাত্র হচ্ছেন। সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থার মতই তার বক্তব্য বেসামাল বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, আমি জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে সুষ্পষ্টভাবে বলতে চাই-দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির অবিচ্ছেদ্য অংশ, তিনিই বিএনপির নেতাকর্মীদের একমাত্র প্রেরণা। সুতরাং খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন এদেশে হবে না। মামলা দিয়ে সাজা দিয়ে হাত-পা বেঁধে নির্বাচন করার ষড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে যাবে।

বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ের এ মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এইচ এম এরশাদ একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, দেশে আগাম নির্বাচন হতে পারে। দুই নেতার বক্তব্যে এটা পরিষ্কার বিএনপিকে বাদ দিয়ে আরেকটি প্রহসনের নির্বাচনের চক্রান্ত চলছে।

তিনি বলেন, সরকার প্রশ্নফাঁসে কুল-কিনারা করতে পারে না কিন্তু ভুয়া মামলার জন্য জাল নথি আলোর গতিতে বানিয়ে ফেলে। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মিথ্যা, সাজানো ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজ তৈরি করে মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে যেটির উদ্দেশ্য সরকার প্রতিদিন আরও পরিষ্কার করছে। অর্থাৎ নানা ফন্দি-ফিকির করে বেগম জিয়ার জামিনকে আটকিয়ে রাখতে একের পর এক কৌশল চালিয়ে যাচ্ছে। আজো রায়ের কপি পাওয়া যায়নি।

খাদ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে রিজভী বলেন, পঁচা গম আমদানি ও চালের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে খাদ্যমন্ত্রী বেসামাল হয়ে গেছেন, এখন তিনি আওয়ামী সরকারের বেসুরা ভাঙা ঢোলের মতো কথা বলেন।

রিজভী আরও বলেন, আইনের বিধান মেনে কেন রায়ের কপি দেয়া হয়নি ? নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পরও কেন রায়ের কপি দিতে বিলম্ব হচ্ছে? আওয়ামী সরকার নিপীড়ন-নির্যাতন-হয়রানি-হেনস্তা করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়কে অবৈধ ক্ষমতার জোরে বন্দি করেছে সেটি যে বেআইনি প্রক্রিয়া ও ফরমায়েসী রায় তা কারও বুঝতে বাকি নেই।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin