‘ওবায়দুল কাদের পরে জানাবেন বলে আর জানাননি’

নাগরিক ঐক্যের ইফতারে যোগ দেয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পরে জানাবেন বলে আর জানাননি। এমন অভিযোগ করেছেন সংগঠনের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে নাগরিক ঐক্য আয়োজিত ‘গ্রহণযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই’ শীর্ষক সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও ইফতার অনুষ্ঠিত হয়। এ ইফতারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকেও দাওয়াত করা হয়েছিল বলে জানান মাহমুদুর রহমান মান্না।

তিনি বলেন, প্রথম দিন আমি যখন তাকে দাওয়াত করি, তখন তিনি বলেছিলেন পরে জানাবেন। কিন্তু জানাননি। পরে আবারও মেসেজ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি উত্তর দেননি।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, দেশব্যাপী চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে নিহতদের নাম পরিচয় গণমাধ্যমে প্রকাশ করুন। প্রমাণ ছাড়া যদি বদির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না যায় তাহলে যারা এ অভিযানে মারা গেছেন তাদের পরিচয়, কি কি অভিযোগ, কি প্রমাণ সেটা প্রকাশ করতে হবে।

তিনি বলেন, সাবেক এক রাষ্ট্রপতি বললেন- সরকারি দলের একজন এমপি মাদকের সঙ্গে জড়িত। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তো অনেক পাই কিন্তু প্রমাণ তো পাই না। যদি প্রমাণ ছাড়া বদির চুল ধরা না যায় তাহলে প্রমাণ ছাড়া এখন পর্যন্ত যে ৬৪ জনকে গুলি করে মেরেছেন-মাদকের সঙ্গে তাদের জড়িতের প্রমাণ কি সেটা জানাতে হবে।

দেশে ভয়ের সংস্কৃতি চালুর চেষ্টা চলছে দাবি করে মান্না বলেন, কেউ কেউ বলছেন, এরপর অস্ত্র উদ্ধারের নামে অভিযান হবে, পরে চোরাকারবারি ধরার নামে অভিযান হবে। ক্রসফায়ার চলতেই থাকবে। এরমধ্যেই নির্বাচন আয়োজন করা হবে।

নিজেদের মধ্যে বিরোধ বাড়ানোর সুযোগ নেই উল্লেখ করে সাবেক এ ছাত্র নেতা বলেন, সবাই যাতে স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পায় সেজন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করতে হবে। সরকার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দিবে না। যদি দিত তাহলে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে এভাবে পাল্টাপাল্টি করত না।

মান্না বলেন, শুধু যদি মনে করেন জোট বেঁধে নির্বাচন করলেই জিতে যাবো তাহলেও পারবেন না। সেটা খুলনার নির্বাচন শিক্ষা দিয়েছে। আর একটি শিক্ষা গাজীপুরে দিতে চায়। তাই গাজীপুরে সেই লড়াই করার প্রস্তুতি নেন। যাতে করে সব হত্যা, গুম, অত্যাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি। ঐক্যবদ্ধ মানে এক মঞ্চ বলছি না সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামাতে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দৌজা চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য ট্রাস্টি বোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ডা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আসিফ নজরুল, আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin