ওবায়দুল কাদেরের সামনেই কম্বল নিয়ে মারামারি

শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে এসে কম্বল নিয়ে টানাটানি ও মারামারি দেখলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।ওবায়দুল কাদেরের সামনেই শত শত লোক হুড়োহুড়ি করে একে অপরে উপর আছড়ে পড়েছেন। হাতাহাতি, মারামারি, চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনাও ঘটেছে সেতুমন্ত্রীর সামনে। মঞ্চের ওপর বসে ওবায়দুল কাদের দেখলেন শীতার্ত মানুষের মারামারির এ দৃশ্য।

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচি পালন করে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ। শাখা সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আর সেখানেই এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ জানান, দুদিন ধরে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। এজন্যই কম্বল বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

কম্বল বিতরণের খবর পেয়ে এসেছিলেন ছিন্নমূল শত শত নারী-পুরুষ। কিন্তু আশাহত হতে হয়েছে অনেককে। কম্বলের বদলে কারো কারো ভাগ্যে জুটেছে পিটুনি।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ওবায়দুল কাদের নিজ বক্তব্যের পর কয়েকটা কম্বল বিতরণ করে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপরই বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক ভাগে উপস্থিত ৭/৮ শতাধিক মানুষের মধ্যে কম্বল বিতরণ শুরু হয়। এসময় হুড়োহুড়ির মধ্যে কম্বল নিতে গিয়ে একজনকে আরেকজনের উপর পড়তে দেখা যায়। এক কম্বল নিয়ে ১০/১২ জনের মধ্যে লেগে যায় হাতাহাতি, মারামারি।

নারী-পুরুষের চেয়ার ছুড়াছুড়ি ও মারামারি দেখে মঞ্চ থেকে আয়োজক শাহে আলম মুরাদকে মাইকে বলতে থাকেন, ‘আমাদের অনেক কম্বল আছে, আপনারা ধৈর্য্য ধরেন।’

এসময় পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতেও দেখা গেছে।

কম্বল না পেয়ে ক্ষুব্ধ এক নারীকে বলতে শোনা যায়, নেতাগো কম্বল নেতারাই নিক। আমাগো খ্যাতা আছে, গায়ে দিতে পারুম। নেতাগো তো খ্যাতা নাই।

দেখা গেছে কেউ ২/৩ টা কম্বল নিয়ে যাচ্ছে। কেউ আবার খালি হাতে ফিরছে।

শেষ পর্যায়ে মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জোবায়দুল হক বের হওয়ার সময় তাক ঘিরে ধরেন কম্বল প্রত্যাশীরা। অনেকক্ষণ ঘিরে রাখার পর নেতাকর্মীরা তাকে বের করে দেয়। হতাশ হয়ে ফিরে যান ছিন্নমূল মানুষগুলো।

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ পরিবর্তন ডটকমকে জানান, আমাদের কম্বল ছিল প্রায় এক হাজার। মানুষ ছিল ৭/৮শ। ধৈর্য্য ধরে নিলে সবাই সুন্দরভাবে পেত।

উৎসঃ   poriborton

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin