সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রায় ২ মাস টরেন্টোতে থাকার পর যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। স্থানীয় সময় গত রবিবার এয়ার কানাডার একটি বিমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে বিচারপতি সিনহা গত বছরের ১০ নভেম্বর সিঙ্গাপুর থেকে টরেন্টো এসে পৌঁছান। ডাউনটাউনে ভাড়া করা একটি বাসায় তিনি এতদিন ছিলেন। দীর্ঘ ২ মাসে তিনি কাছের মানুষ ছাড়া আর কারো সাথে দেখা করতে চাননি। তবে যাবার প্রাক্কালে টরেন্টোর সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকদের সাথে অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎ করলেও তাকে নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে অস্বীকৃতি জানান।
উল্লেখ্য, কথা প্রসঙ্গে সাবেক এই প্রধান বিচারপতি জানান, তিনি এখন স্মৃতিকথা লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্মৃতিকথা অনুলিখনের জন্য এক প্রবাসী বাঙালির সহায়তা নেবেন বলেও জানান।
শীর্ষনিউজ
ডিএনসিসিকে ক্রীড়াবান্ধব ও শিক্ষাসহায়ক নগরী হিসেবে গড়ে তোলা হবে : সেলিম উদ্দিন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য, ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির ও ডিএনসিসির মেয়র প্রার্থী মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, নগরবাসী আমাকে মেয়র নির্বাচিত করলে ডিএনসিসিকে ক্রীড়াবান্ধব ও শিক্ষাসহায়ক নগরীতে পরিণত করব।
আজ শুক্রবার রামপুরা ফ্রেন্ডস ক্লাব আয়োজিত ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। এছাড়া অব্যাহত গণসংযোগের অংশ হিসেবে তিনি আজ প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তৃতা করেন।
রামপুরায় ফ্রেন্ডস ক্লাবের ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্লাবের চেয়ারম্যান ডা. ফখরুদ্দীন মানিক। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এফ এ ফজলু।
উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান এস এইচ ঈমাম, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান শামীম, যুব বিষয়ক সম্পাদক এ এস ফরহাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা এস ইসলাম, আইন সম্পাদক এস এম মনিরুজ্জামান, কার্যকরি কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান, আব্দুল আাজিজ ভূঁইয়া ও মাওলানা আবুল হাসনাত পাটোয়ারি, ছাত্র প্রতিনিধি আতিকুল ইসলাম, গোলাম মর্তুজা, রাসেল ও হাবীব প্রমূখ।
প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত। ছাত্র প্রতিনিধিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মাহিন উদ্দীন, নাহিদ হাসান, মোহাম্মদ রাসেল, আবু জাফর প্রমূখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উদ্ধুদ্ধ, স্বাস্থ্যবান ও সংস্কৃতিমনা জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সুস্থ্য ধারার ক্রীড়া ও সংস্কৃতি চর্চার কোনো বিকল্প নেই। মূলত শরীরচর্চা ও বিনোদন যুব সমাজকে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, মানসিক বিকাশ সাধন, শৃঙ্খলাবোধে উদ্বুদ্ধকরণ, চরিত্র গঠন, পরস্পরের প্রতি সম্প্রীতির মনোভাব, জাতীয়তা ও ভ্রাতৃত্ববোধে উদ্বুদ্ধকরণ ও আন্তঃরাষ্ট্রীয় সাংস্কৃতিক বিনিময়কে জোরদার ও শক্তিশালী করে তোলে। তাই একবিংশ শতাব্দীতে এসে ক্রীড়া, সংস্কৃতি ও সুস্থ্যধারার আত্মবিনোদন হয়ে উঠেছে মানবজীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
কিন্তু এসব ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। বিশেষ করে ডিএনসিসির ক্রীড়া পৃষ্ঠপোষকতা একেবারে দায়সারা গোছের। নগরীর জনসংখ্যার তুলনায় খেলার মাঠও পর্যাপ্ত নয়। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতেও প্রয়োজনীয় আয়তনের খেলার মাঠ নেই। নেই ক্রীড়াবিদদের জন্য আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা ও ক্রীড়া সামগ্রীর সহজলভ্যতা।
পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে ক্রীড়া সংগঠক ও ভাল মানের ক্রীড়াবিদও সৃষ্টি হচ্ছে না। তিনি নির্বাচিত হলে ক্রীড়াপ্রেমী ও ক্রীড়াবিদদের জন্য প্রয়োজনীয় খেলার মাঠের ব্যবস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠ সম্প্রসারণ, ক্রীড়াবিদদের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা ও ক্রীড়া সামগ্রীর সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। ক্রীড়া সংগঠকদের পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে ভাল ক্রীড়াবিদ সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবেন বলেও তিনি যোগ করেন।
তিনি বলেন, যে দেশ যত উন্নত দেশের শিক্ষাব্যবস্থাও ততই উন্নত। তাই দেশ ও জাতিকে নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় উপযোগি করে গড়ে তুলতে হলে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা, সময়োপযোগি পাঠদান পদ্ধতি, মেধাবী ও বিত্তহীন শিক্ষার্থীদের পৃষ্ঠপোষকতা, আধুনিক শিক্ষা অবকাঠামো, সর্বাধুনিক শিক্ষা উপকরণ, ভৌত অবকাঠামোর উন্নয়ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সার্বিক শান্তি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে নিরবিচ্ছিন্ন শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ, যোগ্য ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার্থীদের মেধাবিকাশে সহায়ক শিক্ষার সম্প্রসারণ, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে আসন বৃদ্ধি, মেধাবীদের বিদেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি এবং শিক্ষার্থীদের প্রণোদনা দেয়া খুবই জরুরি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এখনও বৈশ্বিক মানের হয়ে ওঠেনি। বিশেষ করে ডিএনসিসি এলাকার শিক্ষার মান মোটেই কাঙ্খিত নয়। তাই বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় আমরা এখনও অনেকটায় পিছিয়ে। নির্বাচকরা তাকে নির্বাচিত করলে তিনি শিক্ষার মান উন্নয়নে সম্ভব সবকিছুই করবেন এবং ডিএনসিসিকে শিক্ষাসহায়ক আধুনিক নগরীতে পরিণত করার সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন বলেও তিনি প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত বলেন, অতীতের জনপ্রতিনিধিরা জনগণকে পর্বত প্রমাণ প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাধারণ মানুষের পরিবর্তে নিজেদের ভাগ্যের উন্নয়ন করে নিয়েছেন। কিন্তু সময় বদলেছে। তারা আর প্রতারিত হতে চায় না। তাই নগরবাসী সৎ, যোগ্য ও কর্মঠ প্রার্থী সেলিম উদ্দিনকে নির্বাচিত করে অতীতের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তিনি সৎ, যোগ্য ও তাকওয়াবান নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় জামায়াত মনোনীত প্রার্থীকে বিজয়ী করতে ব্যালট যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে সবার প্রতি আহবান জানান।
উৎসঃ dailynayadiganta