জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মাদ এরশাদ জাতীয় সংসদে হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য ৩০টি আসন দাবি করেছেন। জাতীয় সংসদে বর্তমানে ৩০০টি আসনে প্রত্যক্ষ ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরশাদের দাবি অনুযায়ী এই আসনের ১০ শতাংশ হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত থাকতে হবে। হঠাৎ করে এরশাদের এই বক্তব্যে রাজনীতিতে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। এরশাদ গতকাল গুলশানে একটি কনভেনশন সেন্টারে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওই দাবি তোলেন।
এরশাদ যিনি ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ অবৈধভাবে অস্ত্রের জোরে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। দীর্ঘ ৯ বছর অবৈধ পন্থায় তিনি রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করেছিলেন। এরশাদের নয় বছরের শাসনামলেই রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানে সংযুক্ত করা হয়েছিল। এরশাদ সাপ্তাহিক ছুটি রোববার বাতিল করে শুক্রবার করেছিলেন। সাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চার জন্য এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি পরিচিত। সেই এরশাদ হঠাৎ এমন দাবি করলেন কেন?
অনুসন্ধানে দেখা যায় ভারতের উগ্র মৌলবাদী সংগঠন ‘আরএসএস’, সম্প্রতি একই দাবি উচ্চারণ করে। বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা দেশত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিচ্ছে বলেই দাবি বিজেপি সরকারের অন্যতম এই মিত্র দলটির। তারা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নিপীড়ন ঠেকাতে সংসদে আলাদা হিন্দু কোটা দাবি করে। ভারতের হিন্দুত্ববাদী থিংক ট্যাংক গোষ্ঠীও বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ, আমলাসহ সর্বস্তরে ১০ শতাংশ হিন্দু কোটা প্রবর্তনের প্রস্তাব করেছে। সম্প্রতি এরশাদ দিল্লি সফরে যান। সেখানে তাঁর সঙ্গে ভারতের নীতি নির্ধারক এবং গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা হয়। এরশাদ কি ভারতের আকাঙ্ক্ষার কথাই নিজে উচ্চারণ করলেন?
রাজনীতিতে এরশাদ ভারত ঘেঁষা হিসেবে পরিচিত। ভারত যা চায়, তা-ই তিনি করেন বলেও অনেকের ধারণা। দাবিটি তাহলে ভারতের না এরশাদের- এই প্রশ্ন অনেকের।
বাংলা ইনসাইডার/