bnp-flag

এরপর বিএনপি কী নিয়ে আসছে?

আগামী একাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচির পরিকল্পনা ও তার বাস্তবায়ন করতে কাজ করছেন বিএনপি। এর অংশ হিসেবে গতকাল রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দীউদ্যানে বিশাল সমাবেশে করেছে দলটি। প্রায় ১৯ মাস পরে রাজধানীতে আয়োজিত এ রাজনৈতিক সমাবেশকে ঘিরে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে দেখা যায় উৎসাহ-উদ্দীপনা।

সমাবেশে বেগম জিয়া যখন সভামঞ্চে ওঠেন তখন দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভিড়ে কানায় কানায় পরিপূর্ণ সমাবেশস্থল। এ সময় মঞ্চে ছিলেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষনেতারা।
ঘরমুখী কেন্দ্রীয় নেতারা গৃহ থেকে মাঠে এসে তাঁদের উপস্থিতি জানান দেন। সেই সঙ্গে মাঠপর্যায়ের কর্মীদের নির্বাচনমুখী করতে উৎসাহ দিচ্ছেন।

সফল সমাবেশের পর পরবর্তী কি করতে যাচ্ছে বিএনপি সেটাই এখন সাধারণ জনগণ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহলের নিকট কৌতূহল সৃষ্টি করছে। সবার একটা ভাবনা এর পর কী করবেন দলটি?
দলকে আগামী নির্বাচনে জয়ী করতে সামনের দিনের রাজনৈতিক কর্মসূচির রূপরেখা তৈরি করছেন বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন।

আগামী ২০ ই নভেম্বর বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫০ম জন্মদিন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে তারেক রহমানের জন্মদিনটি ব্যাপকভাবে পালন করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন দলটি।

এছাড়াও রংপুর সিটি কর্পোরেশনটি বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন দলের নীতিনির্ধারকরা। কারণ এই নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে আগামী সংসদ নির্বাচন।
বিএনপি এখনই বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, যার একটি হলো একের পর এক সমাবেশ। বাংলা ইনসাইডার

কী পেল বিএনপি?

দীর্ঘ দুই বছর পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বড় সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও এর অঙ্গসংঠনের তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। সকালের দিকে জনসমাগম কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে লোকজন। কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয় সমাবেশের আশে পাশের এলাকা।

এর আগে আদালতে গিয়ে সরকারি দলের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন বেগম খালেদা জিয়া। এতে তৃণমূল কর্মীরা আশার আলো ফিরে পান। সেটার প্রতিফলন গতকাল সমাবেশে ঘটিয়েছে বিএনপি।

কিন্তু জনসমাগমের দিকে থেকে সমাবেশ সফল মনে হলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছ থেকে গঠনমূলক বা আশানুরুপ দিকনির্দেশনা পাওয়া যায়নি।
বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে নির্বাচনী রূপরেখা দেবেন বলে জনগণকে বলে আসছিল। গতকালের সমাবেশে কোনো নির্বাচনী রূপরেখা দিতে পারেননি।

গতকাল সমাবেশে বেগম জিয়া নির্বাচনী গণসংযোগ বাড়াতে মুখরোচক বক্তব্যের পাশাপাশি বার বার নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে করার আহ্ববান জানালেও আগামী নির্বাচনের কোনো দিকনির্দেশা দেননি।
সংবাবিধানের বাইরে গিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করতে পারবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ।|

এই একই কথা তিনি ২০১৩ সালেও বলে ছিলেন। ২০১৭ সালে এসেওে তিনি একই কথা বলছেন। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, বিএনপি সেই আগের অবস্থানেই পড়ে রয়েছে।

এর আগে ১৯৯৪ সালে সংকটময় পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনা নির্বাচনী রূপরেখার দিয়েছিলেন। যার আলোকেই পরবর্তীতে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এখনো নির্বাচন রূপরেখা প্রশ্নে বিএনপি ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin