বহুলালোচিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার সাজার রায়ের প্রতিবাদে দলটির নেতাকর্মীরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ করেছেন।
দুই দিনের বিক্ষোভ কর্মসূচির প্রথম দিনে শুক্রবার বিএনপির এসব বিক্ষোভ থেকে বড় রকমের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। এরপর দলটি কী ধরনের কর্মসূচি নিতে পারে, তা নিয়ে নানান আলোচনা রয়েছে।
তবে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁরা এ মুহূর্তে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি না দিয়ে রাজনৈতিকভাবে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচি নিয়ে এগুতে চান।
একইসাথে তাঁরা তাদের নেত্রীর মুক্তির জন্য আইনগত লড়াইও চালাবেন বলে তিনি জানান। বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলে মনে হয়েছে, তাঁরা আসলে নির্বাচন সামনে রেখে তাদের দলের নেত্রীর পক্ষে মানুষের সহানুভূতি এবং জনসমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপি হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচির দিকে না গিয়ে তাদের নেতা কর্মীদের মাঠে সক্রিয় রাখতে চাইছে।
রোহিঙ্গা ‘গণহত্যার খবর প্রকাশের কারণে’ রয়টার্সের সাংবাদিক আটক
ঢাকা: আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, মায়ানমারে গণহত্যার উপর একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের কারণে তাদের দু’জন সাংবাদিককে আটক করে রাখা হয়েছে।
(সতর্কতা: এই প্রতিবেদনের নিচের দিকে নিহতদের মরদেহের ছবি রয়েছে, দূর্বলদের না দেখার অনুরোধ করা হল)। এই দুজন সাংবাদিক অনুসন্ধান করে দেখেছেন বর্মী সৈন্যরা গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে কিভাবে রোহিঙ্গাদের উপর গণহত্যা চালিয়েছে।
এরকম একটি ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছে বার্তা সংস্থাটি। খবর বিবিসির
অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট বা সরকারি গোপনীয়তা আইন ভঙ্গ করার অভিযোগে সাংবাদিক ওয়া লো এবং চ সো উ-কে গত কয়েক মাস ধরে মায়ানমারের কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।
সংবাদ সংস্থাটি বলছে, এই দু’জন সাংবাদিক গত বছর রাখাইন রাজ্যে ১০ জনকে হত্যার ঘটনা তুলে ধরেছেন। রয়টার্স বলছে, তাদের সাংবাদিকরা জনস্বার্থে এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করেছেন।
সংবাদ সংস্থাটির প্রধান সম্পাদক স্টিফেন জে এডলার বলেছেন, ‘তাদেরকে যখন গ্রেপ্তার করা হয় তখন আমরা প্রথমে তাদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেছি। কিন্তু তাদের আইনগত অবস্থা দেখার পর ওয়া লো এবং চ সো উ এবং তাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ইন দিন গ্রামে কী ঘটেছিলো তার বিবরণ প্রকাশ করা আমাদের দায়িত্ব হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
‘বিশ্বব্যাপী জনস্বার্থে আমরা এখন এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছি,’ বলেন তিনি।
কথিত এই গণহত্যার ঘটনা বিবিসির পক্ষে আলাদাভাবে খতিয়ে দেখা সম্ভব হয়নি। কারণ ওই এলাকায় সাংবাদিকদের যাওয়ার উপর বিধিনিষেধ রয়েছে। কিন্তু রাখাইন থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গারা যখন রাখাইনে একের পর এক এধরনের হত্যাকাণ্ডের বিবরণ দিচ্ছে তখনই রয়টার্স এধরনের একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করলো।
বৌদ্ধ অধ্যুষিত রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর বর্মী নিরাপত্তা বাহিনীর আক্রমণের কারণে সম্প্রতি সেখান থেকে প্রায় ছ’লাখ মানুষে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে। সামরিক বাহিনী বলছে, তাদের এই অভিযান সশস্ত্র রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে। তবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো ব