শিরোনাম দেখে মনে হতে পারে- কী হচ্ছে না বুবলীর? শ্যুটিং, নাকি নতুন কোনো সিনেমার চুক্তি? না, এরকম কিছু না। আসলে এবারও ঘটা করে কোনো আয়োজন হচ্ছে না বুবলীর জন্মদিনে।
আগামীকাল সোমবার এই লাস্যময়ীর জন্মদিন। অনেকটা ঘরোয়াভাবেই উদযাপন করা হবে এ দিনটি। বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এমনটাই জানালেন বুবলী।
সিনেমায় নাম লেখানোর পর অর্থাৎ ‘ঢালিউডি নায়িকা’র তকমা গায়ে জড়ানোর পর এটি বুবলীর দ্বিতীয় জন্মদিন। গত বছরও বুবলীর জন্মদিনে ছিল না তেমন কোনো জমকালো আয়োজন। অথচ ভক্তরা চান রূপালি জগতের তারকাদের জন্মদিনটা যেন একটু ভিন্ন আঙ্গিকে উদযাপিত হয়। তাহলে বুবলীর ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন?
জানতে চাইলে বুবলী বলেন, বিভিন্ন কারণে এর আগের জন্মদিনটি উদযাপন করতে পারিনি। সত্যি কথা বলতে কী, ছোটবেলা থেকে এখন অব্দি খুব ঘটা করে কখনই জন্মদিন পালন করা হয়নি আমার। এবার পরিকল্পনা ছিল কিছুটা জমকালো আয়োজনের।
কিন্তু পরিকল্পনা থাকলেও পিছিয়ে পড়ি। তা আর হচ্ছে না, এবারও ঘরোয়াভাবে দিনটি উদযাপন করবো।
বুবলী আরও বলেন, তবে ইচ্ছা আছে কয়েকদিন পর সাংবাদিক ভাইদের নিয়ে কোনো একটা রেস্টুরেন্টে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া করার। আর সময় কাটাবো শুধু আড্ডা দিয়ে। সেদিন আর কোনো প্রফেশনাল কথাবার্তা নয়, হবে শুধু হইহুল্লোড় ও খানাপিনা।
তা জীবনের কয়টি বসন্ত পাড়ি দিলেন? কিছুটা অট্টহাসি হেসে এবার বুবলী বললেন, মেয়েদের নাকি বয়স বলতে নেই।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শাকিব খানের বিপরীতে ‘বসগিরি’ ও ‘শ্যুটার’ ছবি মুক্তি পায় বুবলীর। এরপর এ বছর মুক্তি পায় ‘অহংকার’ ও ‘রংবাজ’। এ দুটি ছবিও ছিল শাকিব খানের সাথে। এছাড়া বর্তমানে শ্যুটিং চলছে ‘চিটাগাইঙ্গা পোয়া নোয়াখাইল্যা মাইয়্যা’ এবং সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন আরও দু’টি ছবিতে। এগুলোতেও তার সহশিল্পী শাকিব খান।
বিডি প্রতিদিন
বোমা ফাটালেন শাকিবঃ এক নায়কের সঙ্গে অপুকে হাতেনাতে ধরেও ক্ষমা করে দিই
শাকিব খান-অপু বিশ্বাস। ঢালিউডের দুই শীর্ষ তারকা। ভালোবাসার বিয়ে আর সন্তান হলেও তাদের সম্পর্ক মোটেও সুখকর নয়। তাদের মন্দ সম্পর্কের সবশেষ বারুদ- শুক্রবার সন্তান আবরাম খান জয়কে বাসায় নিজের সহকারীর কাছে রেখে হঠাৎ কলকাতায় অপুর উড়াল দেওয়া। বিষয়টি শাকিব জানার পর সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে এখন বেশ উদ্বিগ্ন। এ নিয়ে শাকিব খানের অভিযোগ-
শাকিব খান : অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলাম। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই লক্ষ্য করলাম সে তার খেয়াল খুশি মতো চলছে। কোনো বিষয়ে স্বামী হিসেবে আমার মতামত বা অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেনি।
২০১০ সালে এক নায়কের সঙ্গে তাকে হাতেনাতে ধরার পর সে ক্ষমা চাইলে তাকে ক্ষমা করে দিই। এটাই ছিল আমার বড় ভুল। তখনই তাকে ডিভোর্স দিয়ে দিলে আজ আমাকে এমন মানসিক যন্ত্রণায় পড়তে হতো না।
সে আমার কথা না শুনেই কলকাতায় সন্তান ভূমিষ্ঠের জন্য চলে যায়। তাকে কখনো আর্থিক বা অন্য কোনো কষ্ট আমি দিইনি। সন্তান ও তার ভরণপোষণের খরচ নিয়মিত দিয়ে যাচ্ছি। এরপরও সে আমার অনুমতি ছাড়া যখন যেখানে খুশি চলে যায়।
অথচ অর্থের প্রয়োজন হলে ঠিকই আমার কাছে লোক পাঠায়। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়াসহ নানাভাবে সে তার লোকজন দিয়ে বিভিন্ন সময় আমাকে হেনস্তা করেছে। ১০ এপ্রিল টিভি চ্যানেলে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে যাওয়ার আগের দিনও আমার সঙ্গে সে ঘুরে বেড়িয়েছে।
আমার কাছ থেকে ৯ লাখ টাকা নিয়ে গেছে। পরদিনই আমার সঙ্গে এমন বিশ্বাসঘাতকতা সে কীভাবে করতে পারল বুঝতে পারছি না। আমি গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ছবির কাজে থাইল্যান্ডে ছিলাম। আমার ঢাকায় ফেরার কথা ছিল ২১ নভেম্বর। কাজ দ্রুত শেষ হওয়ায় ১৭ তারিখ রাতে আমি ফিরে আসি।
সন্তানের জন্য আনা খেলনাসমাগ্রী দিতে এসেই আমি ওর সহকারী শেলীকে ফোন দিতে থাকি। ওইদিন রাত থেকে পরদিন বিকাল পর্যন্ত সে আমার ফোনকল রিসিভ করেনি। অপু কলকাতায় চলে গেছে মর্মে সন্ধ্যায় যখন বিভিন্ন অনলাইনে সংবাদ প্রকাশ হয় তখন শেলি আমাকে ফোন করে জানায় বাথরুমে পড়ে গিয়ে সে আঘাত পেয়েছে এবং চিকিৎসার জন্য কলকাতা গেছে।
আমি তখন বাচ্চার কথা জিজ্ঞেস করলে শেলি বলে বাচ্চা তার কাছে আছে। আমি বাচ্চা দেখতে আসছি বললে সে জানায় অপু দরজায় তালা দিয়ে চাবি নিয়ে গেছে। এ কথা শোনার পর স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ি। একজন কাজের মেয়ের কাছে বাচ্চা রেখে দরজায় তালা দিয়ে কোনো মা কী বিদেশে চলে যেতে পারে?
বাচ্চার কোনো ক্ষতি হলে তার দায়-দায়িত্ব কে নেবে? আমি তার নিকেতনের বাসায় গেলে ভিতর থেকে শেলি আবারও জানায় তার কাছে চাবি নেই। অপু তালা মেরে চাবি নিয়ে গেছে।
বাসার আশপাশের লোকজন বলছে অপু বেশিরভাগ সময় বাচ্চাকে এভাবে কাজের লোকের কাছে রেখে দরজায় তালা দিয়ে চলে যায় এবং গভীর রাতে ফেরে। এসব কথা শোনার পর বাচ্চার নিরাপত্তা নিয়ে আমি এখন খুব উদ্বিগ্ন। সবার কাছে আমার প্রশ্ন এমন একজন স্বেচ্ছাচারী নারীর সঙ্গে কীভাবে আমি সংসার করব। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন