চলচ্চিত্র অভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল ৫১ দিন পর দেশে ফিরছেন। আজ বুধবার সকালে সিঙ্গাপুর থেকে তাঁর মেয়ে অলিজা মনোয়ার জানিয়েছেন, অস্ত্রোপচারের পর তাঁর বাবা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তিনি এখন অনেকটাই সুস্থ।
চিকিৎসকদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিনি এখন দেশে ফিরতে পারবেন। তাই আগামীকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দেশে ফিরছেন ডিপজল।
গত ৩০ অক্টোবর দুপুরে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ডিপজলের হার্টে বাইপাস অস্ত্রোপচার করা হয়। এর আগে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ডিপজলের হার্টের এনজিওগ্রাম করা হয়। ওই সময় তাঁর হার্টে একাধিক ব্লক পাওয়া যায়।

কিন্তু তাঁর শরীর দুর্বল হওয়ায় তখন তাঁর হার্টে অস্ত্রোপচার কিংবা রক্তনালিতে রিং পরানোর ব্যাপারে চিকিৎসকেরা কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। চিকিৎসকেরা তাঁকে ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ রাখেন। পাশাপাশি এক মাসের পূর্ণ বিশ্রামে থাকার পরামর্শ দেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেলে বাসায় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন ডিপজল। তাঁকে দ্রুত রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসকেরা তাঁকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করেন। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য পরদিন বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে ডিপজলকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়।
সোনাক্ষীর গোসলের ছবি ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল
সোশ্যাল মিডিয়ায় বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহার গোসলের ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে। সোশ্যাল সাইট ইনস্টাগ্রামে ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে সেই ছবি।
যা নিয়ে সোশ্যাল সাইটে বেশ সমালোচনার মুখেও পড়েছেন এই অভিনেত্রী।
চলতি বছরের প্রথম দিকে মুক্তি পায় সোনাক্ষী সিনহার নূর। সেই সিনেমা থেকেই অভিনেত্রীর গোসলের এই দৃশ্য এবার ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রথম নয়, এর আগে ২০১৫ সালে ভাইরাল হয় সোনাক্ষীর একটি এমএমএস।
শাকিবকে লাইভে গালা গালি করে এবার এ কি বললেন নিপুন!
বেশ অনেক দিন ধরেই ঢালিউডের নাম্বার ওয়ান খ্যাত নাওয়ক শাকিব খানকে নিয়ে চলে আসছে নানা সমালোচনা। সর্বশেষ নায়ক ফারুক কে নিয়ে মন্তব্য করায় বেশ তোপের মুখে পরতে হয় শাকিব খানকে। এবার আবার নতুন করে বিতর্কে জড়ালেন এই নায়ক।
রোববার একটি বেসরকারি টেলিভিশনে চিত্রনায়িকা বুবলীকে ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে যোগ্য নায়িকা বলেছেন শাকিব খান। আর এমন বক্তব্যের পর বেশ নরেচরে বসেন নায়িকা নিপুণ। শাকিবের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদেই নিজের ফেসবুক ফ্যান পেজে শাকিব খানের সমালোচনা করেন নিপুণ।
নিপুণ তার ফেসবুক পেজে শাকিব খানকে উদ্দেশ্য করে লিখেন, ‘শাকিব খান আজকে আপনাকে কিছু কথা বলতে চাই। আপনি কীভাবে বলেন বা বুঝাতে চান যে, বাংলাদেশের নায়িকারা শিক্ষিত না, ব্যাকগ্রাউন্ড ভালো না? মিডিয়াতে শুধু বুবলী যোগ্য এবং শিক্ষিত?
শাকিব খান, আপনি নিজের বৌ (অপু বিশ্বাস) এর চেয়ে বেশিবার বুবলীর গুনগান মিডিয়াতে বলছেন। তাই নয় কি? যাই হোক ব্যক্তিগত ব্যাপারে না-ই বা গেলাম! আপনি পারসোনালি মানুষকে বা বুবলীকে খুশি করার জন্য যা খুশি বলেন, কিন্তু মিডিয়ার সামনে অন্য আর্টিস্টদের সম্মান দিয়ে কথা বলবেন।
আর আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা? আপনার ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড? আপনি মনে হয় আপনার ১১ বছর আগের কথা ভুলে গেছেন। ইমিগ্রেশন অফিসার ইমিগ্রেশনে ইংরেজিতে যা কিছুই জিজ্ঞেস করতো আপনি না বুঝেই ‘ইয়েস’, ‘নো’ বলতেন; যেখানে অন্য আর্টিস্টরা ঠিকঠাক উত্তর দিত। আপনি এতই শিক্ষিত যে ‘ইডি’ (এম্বারকেশন-ডিসএম্বারকেশন) কার্ড পূরণ করতে পারতেন না। ভুলে গেছেন?
ইন্ড্রাস্ট্রিতে অনেক শিক্ষিত আর্টিস্ট আছে যারা নিজের ব্যাপারে মিথ্যা জাহির করেনা। আপনি মনে হয় আপনার ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে সঙ্গে অন্য আর্টিস্টদের ব্যাকগ্রাউন্ডও ভুলে গেছেন। তাই আমি আমার ব্যাকগ্রাউন্ড আবারও আপনাকে মনে করে দিতে চাই যে, আমি কোথা থেকে এসেছিলাম এবং আমার ফ্যামেলি ব্যাকগ্রাউন্ড আমার বাবার পেশা, আমার মা’র পেশা, আমার ভাই-বোন, আমার শিক্ষা, আমার গ্রাজুয়েশন কি?
আপনাকে আরও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, বনানীর যে বাসায় আমি থাকি সেটা সিনেমার টাকায় কেনা না। এটা আমার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া, মিডিয়াতে আসার আগে থেকেই ছিল। সিনেমায় এসেছি ভালো লাগা থেকে। মস্কো থেকে ২ বছর পর গ্রাজুয়েশনের ক্রেডিট ট্রান্সফার করে ইউএস এর লা ভ্যালি কলেজ থেকে গ্রাজুয়েশন শেষ করে এসেছি।
আপনি তো আবার অতীত ভুলে যান। তাই আরও মনে করিয়ে দিতে চাই যে, আপনি শুটিংয়ের সেটে রাজ্জাক আঙ্কেলকে সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত বসিয়ে রেখেছিলেন। শেষ পর্যন্ত সেটে আর আসেননি। আরও কতজনকে যে অসম্মান করেছেন তার হিসেব নেই। ভুলে গেছেন?
ইন্ড্রাসট্রি তে যা খুশি তা করেছেন আপনি। সিনিয়ররা আপনার ব্যবহারে অতিষ্ট। আপনার জন্যই তো উনারা ইন্ড্রাসট্রিতে নিয়মিত না। আপনি কি করে ভাবেন যে, রাজ্জাক আঙ্কেল, ফারুক আঙ্কেল, আলমগীর আঙ্কেল আপনাকে বারবার সাপোর্ট দিবে।
শাকিব খান, বাংলা সিনেমা নিয়ে আপনি যে নোংরা রাজনীতি করছেন তা নিজের ও কিছু দেশি-বিদেশি মহলের স্বার্থ রক্ষার জন্য করছেন যা বাংলাদেশ চলচিত্র শিল্পের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে নোংরা রাজনীতি বাদ দেন।
আর মিডিয়ার সবাই জানে আপনার অতীত এবং ব্যাকগ্রাউন্ড। বুবলীর ভিডিও গানের লক্ষ লক্ষ ভিউ ভিউয়ের কথা এত বার বার বলেন কেন? ভিউ বেশি মানেই কি অপুর চেয়ে বেশি বুবলীর গ্রহনযোগ্যতা দর্শকদের কাছে? আপনি কি জানেন না যে, বুস্ট করিয়ে মানে টাকা খরচ করিয়ে ভিউ বাড়ানো যায়।
আর আমি যখন থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তখন আপনি ইন্টারনেটের ‘ই’-ও জানতেন না। মুভি বানানোর জন্য ইনভেস্ট আমিও করতে পারি কিন্তু আপনার মতো শয়তান যত দিন ইন্ড্রাস্ট্রিতে থাকবে ভালো মানুষরা ইনভেস্ট করতে চাইবে না। কারণ কিছু লোককে তো রেখছেনই টাকা দিয়ে সেই সিনেমা পাইরেসি করানোর জন্য এবং নিজেকে স্বঘোষিত কিং খান প্রতিষ্ঠিত করার জন্য।
পরবর্তীতে মিডিয়াতে কথা বলার আগে অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করে সিনিয়র আর্টিস্টদের ও অন্যান্য আর্টিস্টদের সম্মান দিয়ে কথা বলবেন আর নিজের অতীতটা মনে রাখবেন।’