ইরানের সর্বোচ্চ নেতার পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আলী আকবর বেলায়েতি বলেছেন, ইয়েমেন এখন সৌদি আরবের জন্য ভিয়েতনাম হয়ে গেছে। ১৯৭০ এর দশকে ভিয়েতনাম যুদ্ধে বিপুল অস্ত্রে সজ্জিত যুক্তরাষ্ট্র যে লজ্জাজনক পরিণতি বরণ করেছিল ইয়েমেনে সেই একই পরিণতি সৌদি আরবের জন্যও অপেক্ষা করছে।
ড. বেলায়েতি বলেন, ইয়েমেনের যোদ্ধাদের কাছে ইরান অস্ত্র দিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র যে দাবি করছে তা সঠিক নয়। মার্কিন মিত্রদের পরাজয়কে যৌক্তিক করে তেলার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এ মনগড়া অভিযোগ করছে। আরবি ভাষার টেলিভিশন চ্যানেল আল-আলমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তা এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, যখন রাজতান্ত্রিক সৌদি সরকার বাজেট ঘাটতিসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত তখন ইয়েমেনে এই যুদ্ধ শুরু করেছে এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে না পেরে রাজপরিবারের বহুসংখ্যক প্রিন্স ও মন্ত্রীকে আটক করে তাদের কাছ থেকে জোর করে অর্থ আদায় করতে হচ্ছে। কিন্তু এই ধরপাকড়ের ঘটনাকে দুর্নীতি-বিরোধী অভিযান বলে চালাচ্ছে সৌদি সরকার।
ড. বেলায়েতি বলেন, সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী নয় আবার ইয়েমেন তৎকালীন ভিয়েতনামের চেয়ে দুর্বল নয়। ফলে শেষ পর্যন্ত এ যুদ্ধে ইয়েমেনের যোদ্ধারা বিজয়ী হবেন।
বিন সালমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান এইচআরডাব্লিউ’র
ইয়েমেনের ওপর বর্বর সামরিক আগ্রাসন ও হত্যাযজ্ঞের জন্য সৌদি আরবের তরুণ যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বা এইচআরডাব্লিউ।
সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ আহ্বান জানানো হয়েছে। নিবন্ধটি দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টেও প্রকাশ হয়েছে। নিবন্ধের লেখক জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের উপ পরিচালক অক্ষয় কুমার ইয়েমেনের ওপর চাপিয়ে দেয়া বিপর্যয়কর যুদ্ধের জন্য সৌদি যুবরাজ ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মুহাম্মাদ বিন সালমানের কঠোর সমালোচনা করেন।
তিনি বলেন, ইয়েমেনের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়ার জন্য ও সৌদি সেনাদের যুদ্ধাপরাধের জন্য মুহাম্মাদ বিন সালমানের নেতৃত্ব দায়ী। তার কারণে ইয়েমেনের ওপর অবরোধ দেয়া হয়েছে। এর ফলে দেশটির লাখ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের মুখে রয়েছেন এবং সাধারণ রোগেরও চিকিৎসা সামগ্রী তাদের কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বিন সালমান ও কথিত আরব জোটের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা উচিত।
rtnn