ইসি পুনর্গঠন কি মামাবাড়ির আবদার?

নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এটা কি মামাবাড়ির আবদার, এসব এখন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’

বুধবার দুপুরে মিরপুরে একটি গাড়ি তৈরির কারখানা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘মানুষের শক্তি যখন কমে আসে তখন মুখের বিষয়টা ততই উগ্র হয়ে আসে। এটা শরৎচন্দ্রের ভাষা। বিএনপির ক্ষেত্রে বিষয়টা একেবারেই সত্য। তারা এখন সংকোচিত হচ্ছে নেতিবাচক রাজনীতির কারণে।’

সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের মুখের বিষ উগ্র হয়ে উঠছে। তারা এখন আন্দোলন আন্দোলন করে চিৎকার করে নয় বছরে নয় মিনিটও আন্দোলন করতে পারেনি। সেই সামর্থ, সেই শক্তি তাদের নেই। নির্বাচনে সিডিউল ডিক্লেয়ারের আর চার-পাঁচ মাস বাকি। এর মধ্যে সংবিধান পরিবর্তনের কোনো সুযোগ নেই।’

তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া জেলে থাকলে তারা নির্বাচন করবে, কি করবে না- এটা তাদের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। আর বেগম জিয়া জেল থেকে বের হবেন কিনা- সেটা আদালতের। তারা আমাদের কাছে, সাংবাদিকদের কাছে না এসে আদালতে কাছে গেলে ভালো করবেন। আদালতে গিয়ে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে বের করতে বলেন। এখানে সরকারের কোনো দায় নেই, সরকারের ওপর তারা দোষ চাপাচ্ছেন কেন?’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সরকার দণ্ড দেননি এবং সরকার বেগম জিয়াকে জেলে রাখেনি। বেগম জিয়া জেলে সেজন্য বিএনপি নির্বাচনে যাবে না, এজন্য নির্বাচন বন্ধ থাকবে না, বাংলাদেশের সংবিধান অচল হবে না। সংবিধান অনুযায়ী দেশও চলবে, গণতন্ত্রও চলবে, নির্বাচনও চলবে। বিএনপির জন্য কোনো কিছু আটকে থাকবে না।’

তিনি বলেন, ‘স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সংবিধানের গতিপথ এগিয়ে যাবে। এটাকে ভিন্ন খাতে নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি না এলেও নির্বাচন যথা সময়ে হবে।’

দুদিন আগে কূটনীতিকদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতাদের বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে কাদের বলেন, ‘যেহেতু বিএনপি বিদেশি কূটনীতিকদের ডেকে এ দেশের নির্বাচন, খুলনা ও গাজীপুরের নির্বাচন নিয়ে এবং দেশের বিভিন্ন বিষয় যেমন মাদকবিরোধী অভিযান- এসব নিয়ে তারা ব্রিফ করেছে। কাজেই আমাদের পার্টি এবং সরকারের পক্ষ থেকেও কূটনীতিকদের কাছে আমাদের অবস্থান পরিষ্কারের বিষয় ছিল। যেখানে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ আছে সেখানে বিভ্রান্তি রিমুভের জন্য কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন ছিল। এ কারণে আলাপ-আলোচনা করেছি।’

কিন্তু সেখানে বলা হয়েছে, আপনারা বিএনপি ছাড়া নির্বাচন করবেন না- সাংবাদিদের এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, ‘বিএনপি না এলে করব না এটা নয়। কথাটা হচ্ছে, বিএনপি আসুক, আসলে স্বাগত জানাই। জোর-জবরদস্তি করে বিএনপিকে নির্বাচনে টেনে নিয়ে আসা, সে দায়িত্ব আমাদের নয়। বিএনপির অধিকার এটা।’

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin