ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিএনপির বিজয় কেড়ে নেয়া হয়েছে : বাবলা

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতাখ্যান করে বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের কাওছার জামান বাবলা বলেছেন, পরিকল্পিতভাবে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে আমার বিজয় কেড়ে নিয়েছে সরকার। এটা আগেই পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ইলেকশনটা শুধু সরকারের সাজানো নাটক।

বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯ টায় বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তার সাথে ছিলেন সাবেক এমপি নুর মোহাম্মদ মন্ডল, র্ন্বিাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ও মহানগর বিএনপির সেক্রেটারী শহিদুল ইসলাম মিজু, জেলা সভাপতি সাইফুল ইসলাম, সেক্রেটারী রইচ আহমেদ, মহানগর যুবদল সভাপতি মাহফুজ উন নবী ডন প্রমুখ।

বাবলা বলেন, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিষয়টি নগরবাসির কাছে প্রমাণিত হয়েছে। কারণ ২০১২ সালে আমি যখন নির্বাচন করেছিলাম। তখন বিএনপির প্রার্থী কিংবা সমর্থনও পায় নি। তখনও আমি এর চাইতে বেশী ভোট পেয়েছিলাম।

আর এখন আমি বাংলাদেশর সব চেয়ে জনপ্রিয় দল বিএনপির প্রার্থী। যদি জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মী সমর্থকরাও ভোট দেয়, তবুও আমার ভোট ৬০ থেকে ৭০ হাজার হওয়ার কথা। কিন্তু মাঠে আমার যেভাবে ফ্লো উঠেছিল, তাতে দেড় লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে আমার বিজয়ী হওয়ার কথা। কিন্তু সরকার কারচুপির মাধ্যমে ভোট ও ফলাফল ইঞ্জিনিয়ারিং করে আমার বিজয় কেড়ে নিয়েছে। আমি এই ভোট প্রত্যাখ্যান করলাম।

বাবলা বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে নজিরবিহীন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে এই সরকারের আমলে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ভোট সম্ভব নয়। আমি এই নির্বাচন মানি না। এই নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করলাম। ভোটের শেষ পর্যন্ত থেকে দেশবাসিকে এই সরকারের ভোট কারচুপির বিষয়টি অবগত করে আমি ভোট প্রত্যাখ্যান করলাম।

বাসস
রংপুরের নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আবারো প্রমাণ হয়েছে, বর্তমান সরকারের সময়ে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন।

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডিস্থ রাজনৈতিক কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে দলের পক্ষ থেকে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ও কর্তৃত্তপূর্ণ নির্বাচনের রেকর্ড রেখে যাচ্ছে। এই নির্বাচনে গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা এ নির্বাচনের ফলাফলকে গণতন্ত্রের বিজয় হিসাবেই দেখছি। মনে করি, এ নির্বাচনের রেজাল্ট জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির জন্য একটা বার্তা রেখে যাচ্ছে।

নির্বাচনে বিএনপির কারচুপির অভিযোগ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বানরে সংগীত গায়, সীতা জলে নাচে।

সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin