বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর বনানীর বাসার সামনে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী জানান, সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ বাসায় ঢুকতে চাইছে। তবে বাসার দরজা কেউ খোলেনি। তারা দরজা ভাঙার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ সাবেক ছাত্র এম. ইলিয়াস আলী (জন্ম-১৯৬১) ছিলেন সিলেট জেলার একজন বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ এবং জাতীয় সংসদের (২০০১-২০০৬) একজন সাবেক সদস্য।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে ২০১০ সালে নির্বাচিত হয়ে তিনি হরতাল (সাধারণ ধর্মঘট) থেকে শুরু করে প্রতিরোধ কর্মসূচী, বিক্ষোভ এবং দলগঠন সহ বিভিন্ন কর্মসূচিতে সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল রাজধানীর রূপসী বাংলা হোটেলে আড্ডা শেষে বনানীর বাসায় ফেরার পথে মহাখালী সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সামনে থেকে গাড়িচালকসহ নিখোঁজ হন তিনি। ঘটনাস্থল থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় তার ব্যবহৃত গাড়িটি পুলিশ উদ্ধার করলেও বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলী এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
আজ খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি
কুমিল্লায় হত্যা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দায়ের করা দুটি এবং নড়াইলে মানহানির একটি মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার করা জামিন আবেদেনের ওপর শুনানি হবে আজ।
মঙ্গলবার (২২ মে) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চে এ শুনানি হবে।
এর আগে সোমবার (২১ মে) এই তিন মামলার মধ্যে দুটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। তবে রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রস্তুতির জন্য সময় চান। পরে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের বেঞ্চ জামিন আবেদনের বিষয়ে শুনানির জন্য আজ মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
এর আগে আদালতের অনুমতি নিয়ে ৩টি মামলায় রবিবার (২০ মে) হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
আবেদনের বিষয়ে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলেন, ‘হত্যা ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের অভিযোগের দুটি পৃথক অভিযোগে কুমিল্লায় দুটি মামলা এবং মানহানির অভিযোগে নড়াইলের এক মামলায় আমরা হাইকোর্টে জামিন আবেদনের অনুমতি চেয়ে আবেদন করি। আদালত আমাদের আবেদন মঞ্জুর করেন। সে অনুযায়ী আমরা আবেদন দায়ের করেছি।’
এর আগে গত ১৬ মে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
তবে তার কারামুক্তির জন্য আরও ৬টি মামলায় জামিন নিতে হবে। পাশাপাশি ৪টি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের প্রয়োজন রয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা গত বৃহস্পতিবার ঢাকার পৃথক আাদালতে দুটি মানহানির মামলায় জামিনের আবেদন জানান। এ ছাড়া ৪টি মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহারের আবেদন জানান। আদালত শুধু নাইকো মামলায় হাজিরা পরোয়ানা প্রত্যাহার করেছেন। বাকিগুলো পরে আদেশ দেয়া হবে উল্লেখ করে দিন ধার্য করেছেন।
এছাড়া কুমিল্লায় দায়ের হওয়া তিনটি মামলার মধ্যে দুটি মামলায় জামিন আবেদন জানালে আদালত আগামী ৭ জুন শুনানির দিন ধার্য করেন। এছাড়া নড়াইলে মানহানির অভিযোগে করা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেট আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। সেসব মামলায়ই এবার অনুমতি নিয়ে জামিনের জন্য সরাসরি হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।