আ.লীগ পরাজিত হলেও গণতন্ত্রের জয় হয়েছে: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, এ নির্বাচনে আমরা পরাজিত হলেও রাজনীতির জয় হয়েছে। এ বিজয়কে আমরা গণতন্ত্রের বিজয় হিসেবে দেখছি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধানমন্ডিস্থ প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে রসিক নির্বাচন প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ফলাফল আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির জন্য বড় ম্যাসেজ বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, সব নির্বাচনে জিততে হবে এমন কোনও কথা নেই। রসিকে সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবারও গণতন্ত্রের বিজয় হয়েছে সেটিই বড় কথা।

যে দলই বিজয়ী হোক আওয়ামী লীগ তাদের স্বাগতম জানাবে বলেও জানান কাদের।

হাসিনাকে বুলেট তাড়া করছে: কাদের

‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করার জন্য এখনো স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র চলছে। ষড়যন্ত্রের ছুরি ও বুলেট এখনো তাড়া করছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে’ বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় উৎসবের সমাপ্তি দিবসে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিয়কালে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের মধ্যদিয়ে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কে যে অবিশ্বাস ও সংশয়ের দেয়াল ছিল সেটি ভেঙে গেছে। এখন দু’দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে।

ভবিষ্যতে দু’দেশের সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে এমন আশা প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, যেভাবে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন হয়েছে ঠিক একইভাবে তিস্তা চুক্তিরও হবে।

তিনি বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঢাকা সফরকালে যে আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশের জনগণ সে দিকে তাকিয়ে আছেন এবং সবকিছুই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব হবে।

কাদের বলেন, ‘মমতা দিদির সঙ্গে রয়েছে আমাদের সুমধুর সম্পর্ক। আমরা মনে করি, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অনেক সমস্যার সমাধান হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের ৬৮ বছরের ছিটমহল সমস্যার সমাধান হয়েছে। সমাধান হয়েছে আলোচনার মাধ্যমে। আমাদের তিস্তা নদীর পানিবণ্টন সমস্যারও অচিরেই সমাধান হবে।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উত্তরাঞ্চলে পানির সমস্যা রয়েছে। আমাদের ভারত সরকার আশ্বস্ত করেছে তিস্তার পানিবণ্টন সমস্যা সমাধানের। আমরা চাই, তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানিবণ্টনে ন্যায়সংগত সমাধান।’ মন্ত্রী এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইতিবাচক সমর্থনও প্রত্যাশা করেন।

বাংলাদেশের মন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘তিস্তার পানি নিয়ে কথাবার্তা চলছে, তবে আমার মনে হয় না কোন বড় ধরনের অসুবিধা হবে। তবে একটাই সমস্যা সেখানে পানি অনেক কমে গেছে’। বাংলাদেশ ও ভারত বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গেও অভিন্ন সম্পর্ক কামনা করেন তিনি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সাংবাদিক আবেদ খান এবং নয়াদিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলকাতায় নিযুক্ত উপহাইকমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন বাংলাদেশের বিশিষ্ট অভিনেত্রী শমী কায়সার ও রোকেয়া প্রাচী প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin