alig_bnp

আ.লীগ নিজেরা শোডাউন করলেও বিএনপিকে মাঠে নামতে দিতে নারাজ

ডেট লাইন ৫ জানুয়ারি। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের ৪ বছর পূর্তির দিন। দিনটিকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ পালন করবে গণতন্ত্র রক্ষা দিবস হিসাবে। অপর দিকে সংসদের বাইরে থাকা প্রধান রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বিএনপি পালন করতে চায় গণতন্ত্রের হত্যা দিন হিসাবে।

আলোচিত এই ৫ জানুয়ারি ঘিরে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কি ঘটবে আগামী ৫ জানুয়ারি? এ নিয়ে কৌতুহলের যেন শেষ নেই। রাজনীতির অন্দরে-বাহিরে চলছে ৫ জানুয়ারি নিয়ে প্রধান ২ রাজনৈতিক শক্তির মহড়া দেখতে।

তবে আওয়ামী লীগের সূত্র জানিয়েছে, আগামী ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র ও সংবিধান সমুন্নত রাখার দিন হিসাবে বরাবরের মতোই ব্যাপক শো-ডাউন করবে।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের সবখানেই গণতন্ত্র রক্ষার দিন হিসাবে র‌্যালী ও আনন্দ মিছিল করবে। এক্ষেত্রে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, যুব মহিলা লীগসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে রাজনীতির মাঠে নামতে দিতে নারাজ। অবস্থানও অনড়। দেশের স্বার্থেই দলটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপি ৫ জানুয়ারি ঘিরে যেন কোনো অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। কারণ অতীতে দলটি জ্বালাও পোড়াও কর্মসূচী দিয়ে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে।

এদিকে, বিএনপির দায়িত্বশীল এক নেতা নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেছেন, সারাদেশে কালো পতাকা কর্মসূচী রয়েছে। ঢাকায় চেয়েছিলেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে। প্রশাসন সেখানে অনুমতি না দেয়ায় বিকল্প হিসাবে নয়া পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এখন সমাবেশ করতে চাইবেন।

মঙ্গলবার ছাত্রদলের সমাবেশে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও নেতারা উপস্থিত হওয়ায় এ নিয়ে আর আলোচনা অগ্রসর হয়নি। আজ-কালের মধ্যে উদ্ভুত পরিস্থিতির ওপর তারা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।

৫ জানুয়ারি উপলক্ষে দেশব্যাপী বিএনপির কালো পতাকা মিছিলের কর্মসূচির প্রতি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে দলের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

একই সঙ্গে ওই মিছিল থেকে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ করতেও বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ দলের ধানমন্ডি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ নির্দেশনার তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা পর্যদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক শেষে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ৫ জানুয়ারিকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ অ্যাখ্যায়িত করে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ ও সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলের ডাক দিয়েছেন। সমাবেশের অনুমতি না পাওয়া সত্ত্বেও কর্মসূচি ঘোষণার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টির ছক এঁকেছে। তাই নেতাকর্মীদের সতর্ক দৃষ্টি রাখতে বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি এবং তার জোট দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরির পরিকল্পনা করছে। ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের সময় যেমন ৫শ স্কুল পুড়িয়েছিল, প্রিজাইডিং-পোলিং অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছিল, সেই অবস্থা সৃষ্টির চেষ্টা চলছে। তাদের নেত্রী ৯৩ দিন অবরোধ ডেকেছিল। পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মেরেছিল শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারী এবং ইজতেমাগামী মুসল্লিদের। তাদের হাত থেকে কেউ বাদ যায়নি।

হাছান মাহমুদ বলেন, এটি নির্বাচনী বছর। এক বছরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই বিএনপি ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের মতো বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টির ছক এঁকেছে।

তিনি বলেন, রিজভী আজকে একটি কর্মসূচি দিয়েছে, সারা দেশে পতাকা মিছিল করার। তিনি বলেছেন, ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা দিবস। আসলে তারা ৫ জানুয়ারি গণতন্ত্র হত্যা করেত চেয়েছিল। আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করেছি। কালো পতাকা মিছিল করে জনগণকে ভয় দেখিয়ে লাভ নেই।

উৎসঃ   purboposhchimbd

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin