‘আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করতে পারে, এজন্য আমাদের আন্দোলন একটি উপযুক্ত সময়ে করা হবে, তাড়াহুড়ার কোন প্রয়োজন নেই’ বলে মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যরিস্টার মওদুদ আহমদ।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
ব্যরিস্টার মওদুদ বলেন, নির্বাচনকালিন সরকারের কথা বলে প্রধানমন্ত্রী সংবিধান থেকে একুট বাইরে এসেছেন, তার মানে তিনি প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের বাইরে একটি সরকারের কথা ভাবছেন। এজন্য তাকে স্বাগত জানাই। এখন তাকে স্পষ্ট করতে হবে- এ নির্বাচনকালিন সরকার কি নির্দলীয়-নিরপেক্ষ হবে নাকি তার অধীনে একটি দলীয় সরকার হবে। কারণ তার বক্তব্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার আমাদের নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে একদলীয় নির্বাচনের দিবা স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু সরকারকে এবার খালি মাঠে গোল করতে দেয়া হবে না। আমরা নির্বাচনে যাব, সরকারকে একদলীয় নির্বাচন করতে দেব না। এজন্য আমাদের নির্বাচন এবং আন্দোলন দুটিরই প্রস্তুতি নিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা একবার নির্বাচনের মাঠে নামলে তখন দেশের রাজনীতি বদলে যাবে। তখন সভা-সমাবেশের আর অনুমতি নেয়া হবে না।
মওদুদ আহমদ বলেন, সরকার এবং নির্বাচন কমিশন মিলে ডিএনসিসি নির্বাচন স্থগিত করেছে। এজন্য আদালত নির্বাচন স্থগিত করলেও সরকার চেম্বার আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নেয়নি। আবার এটি নিয়ে এটর্নী জেনারেলও কোন ভুমিকা রাখেনি। যা তারা অন্য সব মামলায় করে থাকে। তিনি বলেন, নির্বাচনে ভরাডুবি হবে জেনেই তারা নির্বাচন চায়নি। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি।
একই সভায় জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, বিএনপিকে বাইরে রেখে সরকার নির্বাচন করার চিন্তা করে থাকলে ভুল করবে। এজন্য তাদের প্রায়শ্চিত্ব করতে হবে।
ইয়ুথ ফোরামের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান শামীমের সভাপতিত্বে ও আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বাধীনতা ফোরাম সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমিন, শাহরিয়া ইসলাম শায়লা, অ্যাডভোকেট আওরঙ্গজেব দুলাল প্রমুখ।