আ.লীগ গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দী করেছে: মোশাররফ

শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে আগামী নির্বাচন হতে দেয়া হবে না হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতাসীনরা ২০১৪ সালে তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বাক্সবন্দী করেছে। এবারও সেই ধরনের নির্বাচনের চেষ্টা করা হচ্ছে।

তিন বলেন, ওই চেষ্টা করা হলে তা হবে গণতন্ত্রকে হত্যা করা, মুক্তিযুদ্ধ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের চেতনাকে হত্যার চেষ্টা।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মহানগর নাট্যমঞ্চে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মুন্সী বজলুল বাসিত আন্জু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মাহবুব উল্লাহ, ড. সুকোমল বড়ুয়া প্রমুখ।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার ষড়যন্ত্র করছে। শুধু তাই নয়, যে বা যারা তাদের (সরকার) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে কথা বলতে চায়, লিখতে চায় তাদেরকে গুম করে দেয়া হচ্ছে। তাই একটি কথা স্পষ্ট দেশে আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশগ্রহণে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন। শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। এবং খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোন নির্বাচন হবে না, ২০১৪ সালের মতো প্রহসনের নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, অনির্বাচিত সংসদ দ্বারা তৈরি সংবিধান দেশের মানুষ সমর্থন করে না। তাই সংবিধানের বুলি না তুলে সংলাপ আলোচনার উদ্যোগ নিন। একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ ইসির পরিচালনায় নির্বাচন দিন।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছিলো দেশে একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা, যেখানে বেকারদের কর্মসংস্থান হবে। সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি পাবে। কিন্তু আজ সেই আকাঙ্খা পূরণ দূরের কথা বরং একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল একদলীয় শাসন চালাচ্ছে।

তিনি বলেন, আজ দেশে আইনাঙ্গনে যে ঘটনা ঘটছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। সরকার নিজের হাতে বিচার ব্যবস্থাকে খণ্ড বিখণ্ড করে দিয়েছে। ফলে এখন সরকার ইচ্ছে করলে যেকোনো বিচারককে অপমান করতে পারবে, অজুহাত দিয়ে বিদায় করতে পারবে।

মওদুদ বলেন, আমরা প্রায় দীর্ঘদিন আন্দোলন করছি না। খালেদা জিয়া সহনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন বার বার সমঝোতার আহ্বান জানিয়েছেন। কিন্তু তারা (আ.লীগ) কোন সাড়া দিচ্ছে না। তাই আমাদের প্রতিজ্ঞা করতে হবে। আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ আমরা জানি কোন স্বৈরচারী সরকারের কাছ থেকে সমঝোতার মাধ্যমে কিছু আশা করা যায় না।

ভরাডুবি আতঙ্কে সরকার বেসামাল: খন্দকার মোশাররফ

কুমিল্লা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হলে সারাদেশে আওয়ামী লীগের ব্যাপক ভরাডুবি হবে। এই ভয়ে সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে।

সোমবার দুপুরে কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলা সদরে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ এবং নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকারি জরিপে উঠে এসেছে। জনগণ তাদেরকে আর ভোট দেবে না। এই অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় থেকে জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দুর্নীতি আর দুঃশাসনে দেশের মানুষ এখন বিরক্ত। সরকারের মন্ত্রী ও এমপিরা রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করতে প্রতিনিয়ত আবোল-তাবোল বলছে।

অনুষ্ঠানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মারুফ হোসেন, দাউদকান্দি বিএনপির সভাপতি একেএম শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম চেয়ারম্যান, পৌর বিএনপির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়াজী, সিনিয়র সহ-সভাপতি নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকার, সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমীন নাঈম সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin