al_photo

আ.লীগের যে দেড়’শ এমপি মনোনয়ন পাচ্ছেন না

আওয়ামী লীগের প্রায় দেড়শ মন্ত্রী এমপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন পাচ্ছেন না। এদের মধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছেন যারা ২১৪ সালের ৫ই জানুয়ারি নির্বাচনে বিনা ভোটে এমপি হয়েছেন যাদের পূর্বের কোনো নির্বাচন করার অভিজ্ঞতা নেই। অন্যদিকে এমপি হয়ে এলাকায় জনপ্রিয়তার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া দূরে থাক নানামুখী কর্মকাণ্ডে নিজেদের বিতর্কিত করেছেন। না পেরেছেন দলীয়ভাবে নিজের অবস্থা সুসংহত করতে, না পেরেছেন মানুষের মধ্যে নিজের ইমেজ তৈরি করতে।

এদের বাইরে কিছু আরও মন্ত্রী এমপি রয়েছেন যাদের আর ভোট যুদ্ধ বা রাজনীতি কররা মতো শারীরিক শক্তি সামর্থ্য আর নেই। বয়সের ভারে কাতর এইসব প্রবীণদের কারও কারও পুত্র বা পরিবারের নিকটজনেরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদেরকে বিতর্কিতও করেছেন। আবার কোনো মন্ত্রীর জাতীয়ভাবে পরিচ্ছন্ন ইমেজ থাকলেও স্থানীয়ীভাবে সংগঠন এবং মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় মনোনয়ন পাচ্ছেন না।

বর্তমান আরও কিছু এমপি রয়েছেন যাদের ভোটযুদ্ধে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলেও নির্বাচনী এলাকায় নিজস্ব সিণ্ডিকেট গঠন করে ব্যবসা বাণিজ্য ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে যেমন জনপ্রিয়তা হারিয়ে বিতর্কিত হয়েছেন তেমনি দলের মধ্যেও উপদলীয় কোন্দল তৈরি করেছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বলেছেন জনমত জরিপে যারা জনপ্রিয়তা নিয়ে উঠে আসবেন তারাই মনোনয়ন পাবেন। ছয় মাস অন্তর অন্তর জরিপ হচ্ছে।

এদিকে দলীয় দলীয় সূত্র জানায়, শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে একাধিক সেল নানা সংস্থা ও নানা পথে জরিপ চালিয়েছেন। সেই জরিপে বর্তমান সংসদের প্রায় দেড়শ সদস্য মনোনয়ন দৌড়ে পিছিয়ে পরেছেন।

আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশগ্রহণে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বীপূর্ণ আগামী নির্বাচন হবে। সেখানেই প্রায় দেড়শ আসনে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য গণমুখী প্রার্থীদের নাম ঠাই পাচ্ছে। এমনকি নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের বাইরে থাকা এমন সব প্রার্থীদের টেনে নেওয়া হবে যারা ভোট যুদ্ধে আওয়ামী লীগের হয়ে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামতে পারবেন।

উৎসঃ   purboposhchimbd

‘বিএনপি জামায়াত ছাড়লে, আমরা জাতীয় পার্টি ছাড়বো’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি যদি যুদ্ধপরাধীদের দল জামায়াতের সঙ্গ ত্যাগ করে, তাহলে আমরাও স্বৈরাচার এরশাদের সঙ্গ ত্যাগ করবো। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের জোট কৌশলগত।’

রবিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে শহীদ মিলনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। ফাতেহা পাঠ করে মিলনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মণি, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, স্বাস্থ্য সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ-দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।

শহীদ ডা. মিলন ১৯৯০ সালের এই দিনে স্বৈরাচার এরশাদ সরকারে পতনের দাবিতে আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি সংলগ্ন এলাকায় ঘাতকের গুলিতে নিহত হন।

উৎসঃ   banglatribune

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin