আল্লামা শফীর গ্রেফতার দাবি ওলামা লীগসহ সমমনা ১৩ দলের

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আবুল হাসান শেখ বলেছেন, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফী ঈদে মিলাদুন্নবী (স:) নিয়ে কটাক্ষ করায় আমি তার গ্রেফতার দাবি করছি। তিনি অচিরে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

রোববার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

মুহাম্মদ আবুল হাসান শেখ বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারিভাবে ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু হেফাজত নেতা আল্লামা শফী ঈদে মিলাদুন্নবী ও মিলাদ ক্বিয়াম শরীফকে চরম অবমাননা করেছেন। ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করার বিষয়ে আল্লাহ নিজে কোরআনে আদেশ করেছেন। যা আমাদের মহানবীও (স.) পালন করেছেন। সেই ঈদে মিলাদুন্নবীকে বিরোধীতা করে আল্লামা শফী নিজেকে দ্বীন ইসলামের দুশমন হিসেবে প্রমাণ করেছেন।

তিনি বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফী আল্লাহর ও নবীর দুশমন। দুশমন না হলে তিনি সরাসরি বলতেন না- ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা যাবে না।

বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগের কার্যকরী সভাপতি বলেন, হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফী ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে কটাক্ষ করায় তাকে তোহবা করতে হবে। তোহবা না করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে। তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে মিলাদুন্নবী (স:) কে বিতর্কিত করার জন্য সমালোচনা করছেন।

এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগসহ সমমনা ১৩টি দল হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শফীকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। এসব দলের বক্তারা মানববন্ধনে ১২ দফা দাবি তুলে ধরেছেন। ১৩ দলের দাবিগুলো হলো- ঈদে মিলাদুন্নবী বিরোধীদের প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া, মাদরাসার পাঠ্য বইয়ে অন্তর্ভুক্ত হাদিসকে অশ্লীল বলায় ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং

রিপোর্টার অভিজিতের গ্রেফতার করতে হবে, জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে কূটনৈতিক উদ্যোগ বাড়ানো, মোসাদ ষড়যন্ত্রের চক্রান্তকারীদের গ্রেফতার, সরকারি ওয়েবসাইটে যারা সালাফি ওহাবী বিশ্বাসীদের গ্রেফতার, মুক্তিযুদ্ধকে পাক ভারত যুদ্ধ বলায় ভারতের বিরুদ্ধে

তীব্র প্রতিবাদ জানানো, পবিত্র দ্বীন ইসলাম বলার কারণে কাউকে গ্রেফতার না করা, শিক্ষাবিদ নামধারী ইসলাম বিদ্বেষীদের তৎপরতা বন্ধ করা, মুসলমানিত্ব নির্মূলের শিক্ষা আইন অনুমোদন না করা ও শিক্ষানীতি-২০১০ বাতিল করা, এবং বাংলাদেশে ব্র্যাকসহ সন্দেহজনক এনজিওগুলো নিষিদ্ধ করা।

বক্তারা আরও বলেন, ঈদে মিলাদুন্নবীকে অবমাননাকারী আল্লামা শফী হারাম বিদাতে ডুবে থাকেন তার প্রমাণ আমাদের কাছে আছে। রাজধানীর মতিঝিল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম এলাকায় তার নেতৃত্বে যে তান্ডব চলেছিল তার বিচার আজও হয়নি। তার ওপর আবার নতুন করে মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছেন। আমরা তার বিচার দাবি করছি।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামালীগ, সম্মিলিত ইসলামী গবেষণা পরিষদ, জাতীয় কুরআন শিক্ষা মিশন, বাংলাদেশ ওলামা মাশায়েখ ঐক্যজোটসহ ১৩ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।আস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin