kader-siddiki

আ’লীগ ১০০ বছরেও বিএনপির অর্ধেক সমাবেশ করতে পারবে না: কাদের সিদ্দিকী

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির সমাবেশে যে পরিমাণ লোক হয়েছিল, তা আওয়ামী লীগ আরও একশ’ বছর চেষ্টা করলেও অর্ধেকও পারবে না মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতালীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম।

বুধবার সন্ধ্যায় সখীপুর উপজেলা ডাকবাংলো চত্তরে স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতালীগ আয়োজিত ‘ভোট ডাকাতি দিবস’ পালন উপলক্ষে সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ১২ নভেম্বর রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপি সমাবেশ পণ্ড করতে ঢাকায় যানবাহন প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। আগের রাতে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। সমাবেশের খবর সব টেলিভিশনে প্রচার-প্রচারণা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। এরপরেও বিএনপির সমাবেশে যে পরিমাণ লোক হয়েছিল তা আওয়ামী লীগ ১০০ বছরে অর্ধেকও পারবে না।

নির্বাচন কমিশনারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা বলে নির্বাচন কমিশনার নির্বোধের প্রমাণ দিয়েছেন।

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, আবার ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো এ দেশে নির্বাচন হলে শেখ হাসিনাকে সবাই মহিলা স্বৈরাচারী শাসক বলবে, কিন্তু আমি তা হতে দেব না। আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতি করি না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি। যে রাজনীতি করলে শেখ হাসিনার বদনাম হয় আমি সে রাজনীতিও করি না।

সমাবেশে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান খোকা বীরপ্রতীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসমত আলী নেতা , উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জুলফিকার শামীম, কেন্দ্রিয় যুব আন্দোলনের আহ্বায়ক হাবিবুন-নবী-সোহেল প্রমুখ বক্তব্য দেন।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালের ১৫ নভেম্বর টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখীপুর) আসনে অনুষ্ঠিত উপ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার প্রতিবাদে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ প্রতিবছর এ দিনটি ভোট ডাকাতি দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

উৎসঃ   যুগান্তর

খালেদা জিয়াকে সাজা দিতেই কি প্রধান বিচারপতি অপসারণ?

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার জন্যেই কি প্রধান বিচারপতিকে অপসারণ করা হয়েছে এমন প্রশ্ন রেখেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জান দুদু।

বুধবার বিকেলে ঢাকা রিপোটার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সম্মেলনের আয়োজন করে শিল্পাঞ্চল ও তেজগাঁও থানা জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তর।

বেগম খালেদা জিয়া এতিমদের টাকা মেরে খেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আদালতে বিচার হয়নি, কোনোভাবেও প্রমাণিত হয়নি এরপরও প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন। আসলে তিনি (প্রধানমন্ত্রী) নিজেই তাকে সাজা দিতে চান। আর তা পারলে সপ্তাহের প্রতিদিনই খালেদা জিয়াকে আদলতে বসিয়ে রাখতেন তিনি।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশ প্রসঙ্গে সাবেক এ ছাত্র নেতা বলেন, সমাবেশের কারণে সরকার রাস্তাঘাটে গাড়ি শূন্য করে দিয়েছিল তারপরও মানুষ হেঁটেই সমাবেশে যোগ দিয়েছে। যারা সমাবেশে পৌঁছেতে পারেনি তারা রাস্তায় ছিলো সেদিন পুরো ঢাকা শহরটাই ছিলো বিএনপির। আর আওয়ামী লীগের সমাবেশে স্কুল, কলেজ সব বন্ধ করেও গাড়ি দিয়ে টাকা দিয়ে লোক ভাড়া করলেও মাঠের এক কোনাও ভরে না।

সমাবেশে বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, জীবনের শেষ মুহূর্তে দেশে আবারও গণতন্ত্রের শাসন দেখতে চাই। আর এ শাসন প্রতিষ্ঠায় বেগম জিয়া যে লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন সে লড়াইয়ে পুরুষদের পাশাপাশি জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের প্রতিটি কর্মীই সমান সৈনিক বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহিনা খাতুনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি পেয়ারা মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক আমিনা খাতুন প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin