khaleda

আরো ২ মামলায় খালেদার জামিন আবেদন

আরো দুটি মামলায় জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করছেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এর আগে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পৃথক দুই মামলা এবং মানহানির অভিযোগে নড়াইলে দায়ের করা মামলায় জামিন আবেদন করেছেন।

তথ্য গোপন করে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন এবং ২০০১ সালে চারদলীয় জোট গঠন করে স্বাধীনতাবিরোধী আলবদর ও রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে মন্ত্রী পরিষদ গঠন করে তাদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়ার অভিযোগে মানহানির মামলায় হাইকোর্টে আজ জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।

আজ মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পৃথক দুই মামলায় জামিন আবেদন দায়ের করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানি হতে পারে।

খালেদা জিয়ার পক্ষে তার অ্যাডভোকেট মাসুদ রানা এ আবেদন দায়ের করেন। এর আগে আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে অনুমতি নেন। ব্যারিস্টার কায়সার কামাল এই তথ্য জানান।

খালেদা জিয়া ছাড়া কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না: মোশাররফ

‘গণআন্দোলনের স্রোতের মুখে পড়ে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে, আর বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি এবং ২০ দল ছাড়া দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ও বর্তমান নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজন করে এ গোলটেবিল আলোচনা। আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম, আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ, জিনাফের সভাপতি মিয়া মো: আনোয়ার প্রমুখ।

মোশাররফ বলেন, হাইকোর্ট জামিন দিলো, আপীল বিভাগও জামিন দিলো। কিন্তু সরকার অন্যান্য মামলা নিয়ে যেভাবে পরিকল্পনা করছে এবং খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে নির্বাচন করতে চায়, সে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না। জনগণ তা মেনে নেবে না। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, গণতন্ত্রের মুক্তি, খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গণআন্দোলনে কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন মোশাররফ।

মোশাররফ বলেন, আন্দোলন ঘোষণা দিয়ে হয় না। কোটা আন্দোলন দেখুন। কোনো নেতাও ছিল না। সময় আসছে। জনগণ আর আমাদের দিকে তাকিয়ে থাকবে না। নিজেরাই রাস্তায় নেমে নিজেদের অধিকার আদায় করে নেবে। সরকার তখন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে। আর বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপি এবং ২০ দল ছাড়া দেশে কোনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে যে নির্বাচনের পরিকল্পনা করা হয়েছে জনগণ তা মেনে নিবে না। জনগণের সঙ্গে বারবার প্রতারণা করা যায় না। দেশের জনগণ অত্যন্ত সচেতন। বারবার প্রতারিত হবে না। যদি ২০১৪ এর পথে আওয়ামী লীগ হাঁটে জনগণ তা রোধ করবে। যারা মনে করছেন জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে ক্ষমতায় টিকে থাকবেন তা ভুলে যান। জনগণ রাস্তায় নামলে টিকতে পারবেন না।

সা্বেক এই মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক স্বীকৃত স্বৈরাচার সরকারের কবল থেকে মুক্তি পেতে হলে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হতে হবে। আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রগুলো বলছে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে হবে। আর বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি যদি অংশ না নেয় সেটা কখনো গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রীর সমালোচনা করে মোশাররফ বলেন, তিনি বলেছিলেন, রমজানে নিত্যপণ্যের মূল্য বাড়বে না। রমজানের অথচ দুদিনের মধ্যে সব বেড়ে গেছে। তারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ তাদের কোনো চেইন অব কমান্ড নেই।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin