‘আমি কেন জেল থেকে বের হতে পারছি না’

জিয়া অরফানেজ দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত কারাগারে বন্দী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, ‘আমি কেন জেল থেকে বের হতে পারছি না। আমার বেলায় কেন এতে দেরি হচ্ছে? জেল থেকে বের হতে আমার কেন এত সময় লাগছে। অন্য আসামিরা হাইকোর্টে জামিন আবেদন করলে জামিন পায়, আমার বেলায় সেটি কেন হচ্ছে না?’

আজ রোববার বিকেলে কারাগারে দেখা করতে আসা আইনজীবীদের কাছে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন বেগম জিয়া।

কারাগার থেকে বের হয়ে টিভি ক্যামেরা আসার আগেই উপস্থিত কয়েকজনের কাছে এমন কথা বলছিলেন বেগম জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে আসা এক আইনজীবী। পরে ক্যামেরা এলে আইনজীবীরা বলেন, মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটে ছয় আইনজীবী বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পুরান ঢাকার পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। দীর্ঘ দুই ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে বেগম জিয়ার সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। পরে সাড়ে পাঁচটার দিকে আইনজীবীরা বেরিয়ে আসেন। বেগম জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট রেজাক খান, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট এজে মোহম্মদ আলী ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন-এই ছয়জন।

এর আগে আজ সকালে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ডের মেয়াদ  আরও বাড়াতে আপিল আবেদন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আপিল আবেদন করা দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বলেন, নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য হলফনামা (এফিডেভিট) দাখিল করেছি। মঙ্গলবার এটি হাইকোর্টে উপস্থাপন করা হবে। বয়স, শারীরিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালত কম সাজা দিয়েছেন। এ মামলায় প্রধান আসামিকে দেওয়া হয়েছে ৫ বছর সাজা কিন্তু সহযোগীদের দেওয়া হয়েছে ১০ বছর করে। সুতরাং প্রধান আসামির সাজাটা অপর্যাপ্ত মনে করে দুদক। এ কারণে নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হয়ে দুদক এ আপিল করেছে।

দুদকের পদক্ষেপের ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই বিএনপি সূত্রে জানা যায় বেগম জিয়ার ছয় আইনজবীবী বিকেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। একই মামলার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। আদালতের ওই রায়ের পর থেকে কারাগারে আছেন খালেদা জিয়া।

বাংলা ইনসাইডার