bnp_jot

আমার মামলা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই, কিছুই হবে না : খালেদা জিয়া

‘আমার মামলা নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। কিছুই হবে না। বিএনপিকে চাপে রাখতে সরকার মামলাকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে।’ গতরাতে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তার বিরুদ্ধে বিশেষ আদালতে চলা মামলা সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করেন।

বৈঠক শেষে এক নেতা এ কথা জানিয়েছেন। রাত ৯টায় গুলশান কার্যালয়ে এ বৈঠক শুরু হয়ে পৌনে ১১টায় শেষ হয়।

বকশীবাজারের বিশেষ আদালতে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল মামলা চলছে। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থন করে বক্তব্য শেষ করেছেন খালেদা জিয়া। আগামী ১৯, ২০, ২১ ডিসেম্বর এ মামলার পরবর্তী তারিখ।

জানা গেছে, বৈঠকে রংপুর ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়। সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী স্থায়ী কমিটির এক সদস্যের নেতৃত্বে রংপুর সিটিতে প্রচারে যাবে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। আর ঢাকা উত্তরে নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণার পর প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।

বৈঠকে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, জমিরউদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে এসব ছাড়াও দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জেরুজালেমকে ইজরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্যাম্পের স্বীকৃতি প্রদান ও সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নেতারা।

উৎসঃ   আামদের সময়

আ.লীগকে দেখে ঢাকা উত্তরের প্রার্থী দেবেন খালেদা

আনিসুল হকের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়রপ্রার্থী দেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করবে বিএনপি। খালেদা জিয়া নিজেই প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন বলে জানা গেছে। এছাড়া রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে খালেদা জিয়ার প্রচারণায় অংশ নেয়ার গুঞ্জন থাকলেও তিনি যাচ্ছেন না। প্রচারণায় অংশ নিতে দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা রংপুর যাচ্ছেন।

রবিবার রাতে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের ঘোষণার নিন্দা প্রস্তাব পাশ করা হয়েছে। এছাড়া চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির আলোকে চেয়ারপারসনের মামলা সংক্রান্ত আইনি পদক্ষেপ নেয়া, দলের সাংগঠনিক অবস্থা এবং সম্প্রতি সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া বক্তব্যে পর্যবেক্ষণ করা হয়।

বৈঠকে রংপুর সিটি নির্বাচনে ধানের শীষ মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভূমিকা রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে রংপুর সিটি নির্বাচনে প্রচারণায় বিএনপির একটি প্রতিনিধি পাঠানোর সিদ্ধান্তও হয়েছে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, বৈঠকে রংপুর সিটি করপোরেশন ও ডিএনসিসি নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রংপুরে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দলের সিনিয়র নেতাদের রংপুর গিয়ে প্রচারণায় অংশ নেয়ার কথা বলা হয়েছে।

মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, ‘ডিএনসিসি উপ-নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হলেও সুনির্দিষ্ট কোনও প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়নি। যেহেতু নির্বাচনের এখনো পর্যন্ত অনেক সময় বাকি তাই প্রার্থী নির্ধারণেরও সময় আছে। তাড়াহুড়ার কিছু নেই। আর আওয়ামী লীগ কাকে প্রার্থী করে সেটাও আমরা দেখতে চাই।’

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য বলেন, ‘ডিএনসিসি উপ-নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে গত নির্বাচনের প্রার্থী তাবিথ আউয়াল তো আছেন। স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সদস্যরা চূড়ান্ত প্রার্থী নির্বাচনের জন্য দলের চেয়ারপারসনকে দায়িত্ব দিয়েছেন।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রমুখ, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, তরিকুল ইসলাম, লে. জেনারেল ( অব) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin