আদালত থেকে মিছিল নিয়ে ফিরলেন নেতা-কর্মীরা

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বেরিয়ে গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এসময় তার সঙ্গে আবারও মিছিল করতে করতে আদালত চত্বর থেকে ফিরেছে দলীয় নেতা-কর্মীরা।

বুধবার দুপুর আড়াইটায় চতুর্থ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেছে আসামিপক্ষ। আগামীকাল বৃহস্পতিবার আবারও যুক্তি উপস্থাপন করা হবে।

এর আগে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ দিন ধার্য করেন। এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় হাজিরা দিতে বুধবার বেলা ১১টা ১৪ মিনিটে ঢাকার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ আদালতে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

পরে বেলা ১১টার ১৮ মিনিটের দিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন। দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আজকের দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়।

গত ২১ ডিসেম্বর মামলা দুটির যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৬-২৮ ডিসেম্বর এ দিন ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৮ আগস্ট খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ মামলায় ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।

মামলায় বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরী এবং তার তৎকালীন একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খানকে আসামি করা হয়।

এতিমদের জন্য বিদেশি থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে জিয়া অরফানেজ মামলাটি দায়ের করে দুদক। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।

অভিযোগপত্রে খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করা হয়।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin