আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব : রনি

আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন বলে ঘোষণা দিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনি। এর আগে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পটুয়াখালী থেকে জয় লাভ করেন।

এর পর ২০১৪ সালের দশম সংসদ নির্বাচনে তিনি অংশ নেননি। তবে ২০১৫ সালে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণ থেকে মেয়র পদে আংটি মার্কায় অংশ নেন গোলাম মাওলা রনি।

আজ সোমবার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন যেখানে তিনি আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের ইচ্ছা পোষণ করেছেন। পাঠকদের জন্য গোলাম মাওলা রনির সেই স্ট্যাটাসটি তুলে ধরা হল।

“আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব ইনশা আল্লাহ। সব ধরনের প্রস্তুতি চুড়ান্ত করেছি। এরই ধারাবাহিকতায় দু’টো পোস্টার। প্লিজ ! দোয়া করবেন। সবাইকে ধন্যবাদ!”

বিডি-প্রতিদিন

আনিসুলের মৃত্যু: বিএনপিতে আলোচিত ৪ মুখ

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে সিটি করপোরেশনটিতে নতুন নির্বাচনের যে আলোচনা শুরু হয়েছে, তার বাতাস লেগেছে বিএনপিতেও। আনুষ্ঠানিক কোনও আলোচনা না হলেও দলের তৃণমূল থেকে হাইকমান্ড পর্যন্ত বিএনপির নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা এবং দলে প্রার্থী কে হতে পারেন- এ নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা শুরু হয়ে গেছে।

ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে বিএনপি ও জোটের চার নেতার নাম নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে দলের হাইকমান্ড।

এই চারজন হলেন- গত নির্বাচনে আনিসুল হকের কাছে হেরে যাওয়া ধনকুবের ও দলের ভাইস-চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল, ভাইস-চেয়ারম্যান ও গুলশান এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর (অব) কামরুল ইসলাম, দলের ভাইস-চেয়ারম্যান এবং সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব ও সাবেক সংসদ সদস্য বরকত উল্লাহ বুলু এবং ২০ দলীয় জোটের শরীক দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আলোচনার শুরুটা করেছেন চেয়ারপারসন নিজেই।

শনিবার আনিসুল হকের দাফনের পর বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র ও প্রধানশালী নেতা মিলিত হয়েছিলেন দলের সিনিয়র ভাইস-চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে একটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে। অনুষ্ঠানের পর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, মীর্জা আব্বাস ও ড. মঈন খান চেয়ারপারসনের সাথে আলাদাভাবে দেখা করেন।

এ ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী আহমদ, সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাকসহ বেশ কয়েকজন নেতাও দেখা করেন।

আবুল খায়ের ভূঁইয়া পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ম্যাডাম নিজেই আনিসুল হকের কথা তুলেছিলেন। তিনি বলেছেন, সে (আনিসুল) ভিন্ন রাজনৈতিক দলের হলেও মেয়র হিসেবে অনেক কাজ করার চেষ্টা করেছে।

আবুল খায়ের বলেন, সেখানে নোয়াখালী এলাকার আরও অনেক লোক ছিলেন।

বিএনপি নেতারা জানান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য নেতাদের মধ্যে স্বচ্ছ ইমেজ, ব্যক্তিগত কারিশমার পাশাপাশি বৃহত্তর নোয়াখালী এলাকার প্রার্থী নির্বাচনে এখন থেকেই নজর দিচ্ছে বিএনপি। কারণ একদিকে আনিসুল হক ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালীর সন্তান। আবার ডিএনসিসি এলাকায় নোয়াখালী অঞ্চলের একটি বড় ভোট ব্যাংক রয়েছে। তাই নোয়াখালী অঞ্চলের প্রার্থী প্রয়োজন হবে।

আবুল খায়ের ভূঁইয়া পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, শনিবারের আলোচনার কথা বলতে পারব না, তবে দল নির্বাচনে গেলে ম্যাডাম (খালেদা জিয়া) যে সিদ্ধান্ত নিবেন তাই চূড়ান্ত ধরে আমরা কাজ করব।

ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, সেখানে অনেকেই ছিলেন। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরাসহ নোয়াখালী এলাকার অনেকেই বেগম জিয়ার সাথে দেখা করেছেন।

তিনি বলেন, সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলে চেয়ারপারসন এবং দলে নির্বাচন পরিচালনা বোর্ড প্রার্থিতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিবেন।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, এখনও সেভাবে কোনও আলোচনা হয়নি। তবে নির্বাচন হলে আমরা নিশ্চই নির্বাচনে যাব।

মওদুদ বলেন, আনিস শুধু বৃহত্তর নোয়াখালী নয়, আমার নির্বাচনী এলাকার। ঢাকা উত্তরেও নোয়াখালীর অনেক ভোটার। তিনি আরও বলেন, তাবিথ যেহেতু ওই এলাকায় নির্বাচন করেছিল- হি ইজ নোন টু অল। তারপরও দেখা যাক। আলোচনা আমাদের হবে। সময় আসুক, আমরা আলোচনা করে ঠিক করব কী করা যায়।

এরপর মেয়র প্রার্থী তালিকায় ঘুরে ফিরে আসছে ২০ দলীয় জোটের শরীক বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান প্রার্থর নাম। বিএনপি নেতারা মনে করেন, জাতীয় নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে নিজেদের ইমেজ ঠিক রাখতে সরকার একটি নিরপেক্ষ স্থানীয় সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য থাকবে। সেক্ষেত্রে সব মহলে গ্রহণযোগ্য ও দলের বাইরের প্রার্থীর মাধ্যমে জাতীয় ঐক্যের প্রতিফলন রাখা যায় এমন প্রার্থী হিসেবে আব্দালিব রহমান প্রার্থর নাম প্রস্তাব করছেন কেউ কেউ।

তরুণ ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিশ্বস্থ হিসেবে পার্থকে ঢাকা উত্তরে সামনে এনে আনিসুল হকের পরবর্তী মেয়র প্রার্থী হিসেবে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পক্ষেও মত দিয়েছেন বিএনপির কয়েকজন নেতা।

তবে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, পার্থর বিষয়টি কেবল আগামী সংসদ নির্বাচনের সমীকরণ থেকেই ভাবছে বিএনপি।

newsonline24

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin