amir_khasru

অস্তিত্ব হারানোর পথে আ.লীগ: আমীর খসরু

আগামী নির্বাচনে না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব থাকবে না আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ যে পথে চলছে, তাতে নিজেদের অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছে।

বুধবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোট বাংলাদেশের ৪৬ বছরের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তি শীর্ষক আলোচনার সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আমীর খসরু বলেন, বাকশালের মাধ্যমে উনারা (আওয়ামী লীগ) অস্তিত্বটা নিজেরাই বিলীন করে দিয়েছিলেন এবং সেই অস্তিত্ব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাহেব। আর এখন উনারা যেই পথে চলছেন, আবারও কিন্তু আওয়ামী লীগ রাজনীতিক দল হিসেবে অস্তিত্ব হারিয়ে ফেলছে। সুতরাং আমি অনুরোধ করব, নিজের কথা চিন্তা করুন।

এ সময় বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করেন, বিএনপির সময়ে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের যে দাম ছিল, সে তুলনায় আওয়ামী লীগের সময়ে বিদ্যুতের দাম ২০০ শতাংশ ও গ্যাসের দাম ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত রেন্টাল ও কুইক রেন্টাল ব্যবসায়ীদের মুনাফা দিতেই বারবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে। পাশাপাশি সরকারের চরম সমন্বয়হীনতার কারণে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে।

আ.লীগ ক্ষমতা হারালে ফিরতে সময় লাগবে: খসরু
ঢাকা: বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘যদি জোর করে আপনারা ক্ষমতায় থাকতে চান কিংবা আবারও ক্ষমতায় আসেন; তারপর যদি বিদায় নিতে হয়, সে ক্ষেত্রে রাজনৈতিক অঙ্গনে ফিরতে অনেক সময় লেগে যাবে। এর আগেও এ ধরনের কাজ করে আপনারা বহু বছর রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরে ছিলেন। আমরা চাই না আপনারা রাজনীতির বাইরে থাকুন।’

সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত গোলটেবিল আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।

৭ নভেম্বর বিএনপির বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে ‘৭ নভেম্বরের চেতনা এবং বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক এ গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আমীর খসরু ব‌লেন, ‘গণতন্ত্রের পথে ফিরে এসে আপনারা (সরকার) নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। সেই নির্বাচনে কে জয়ী বা পরাজিত হলো তা বড় বিষয় নয়, আমরা চাই দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসুক। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরতে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই।’

বিএনপির নেতা আরো বলেন, জনগণের প্রত্যাশা কী, তা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় প্রকাশ পেয়েছে। তিনি বলেন, ‘দেশে আজ গণতন্ত্র নাই, গণতন্ত্র প্রশ্নবিদ্ধ। এখন জনগণের প্রত্যাশা একটাই, গণতন্ত্রে ফিরে পাওয়া। আর এই প্রত্যাশা ফিরে পাওয়ার নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া।’

আমীর খসরু বলেন, বিএনপির জনসভায় আসতে মানুষকে বাধা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘সরকার কেন বাধা দেয় তা আমার বোধগম্য নয়। কিন্ত এসব বাধা কি সব সময় কাজ করে? জোয়ার এলে কোনো বাধাই বাঁধ মানে না। কালকের (রোববার) জনসভায় এসে জনগণ প্রমাণ করেছে- তাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।’ এ সময় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান আমীর খসরু।

সভায় অন্যদের ম‌ধ্যে উপ‌স্থিত ছি‌লেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম র‌বি, বিএনপির প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান।

সরকারের নৈতিক অবস্থান নেই, পুরস্কারের আশায় লোক দেখানো সহায়তা: আমির খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট নিরসনে ক্ষমতাসীনদের নৈতিক কোনো অবস্থান নেই। তিনি বলেন, ‘যে সরকারটি অনির্বাচিত, যে সরকারটি ক্ষমতা জোর করে দখল করেছে এবং আবার জোর করে দখল করার পাঁয়তারা করছে, যে সরকারটি বাংলাদেশের মানুষকে প্রতিনিয়ত গুম, খুন, হত্যার মধ্যে আছে, মানবাধিকারে বিশ্বাস করে না, আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না, সেই সরকারের কোনো নৈতিক অবস্থান নেই আজকে এ সমস্যা সমাধানে’।

শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে বিএনপির সহযোগী সংগঠন জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক আইনে রোহিঙ্গা সমস্যা এবং বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা: সমাধান ও করণীয় শীর্ষক আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আমির খসরু বলেন, শুরুতে সরকার রোহিঙ্গাদের সন্ত্রাসী ও ইসলামী জঙ্গি অভিহিত করে মায়ানমার সরকারের সঙ্গে একযোগে অভিযানের প্রস্তাব দিয়েছিল। পরবর্তী সময়ে দেশের জনগণ ও বিশ্ব সম্প্রদায় রোহিঙ্গাদের উপর দমন-পীড়ন ও জাতিগত নিধনের বিষয়ে সোচ্চার হলে আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভের আশায় সরকার লোক দেখানো সহায়তার হাত বাড়িয়েছে।

মায়ানমারে সেনাবাহিনী ও দোসরদের নির্যাতনে প্রাণভয়ে দুই মাসের কম সময়ে পাঁচ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। এতে বড় ধরনের মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী দুই জেলা কক্সবাজার ও বান্দরবানে। রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পালিয়ে আসার এই স্রোত এখনো অব্যাহত আছে। এমন বাস্তবতায় এই জনগোষ্ঠীকে ফেরত নেওয়ার বিষয়ে দৃশ্যত কোনো সদিচ্ছা নেই মায়ানমারের। বিষয়টি নিয়ে মায়ানমারের কার্যত নেতা অং সান সুচি কিংবা জেনারেলদের স্পষ্ট কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।

আয়োজক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কবীর মুরাদের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আবদুল্লাহিল মাসুদ-এর পরিচালনায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের অধ্যাপক ড. এস.এম হাসান তালুকদার, বক্তব্য রাখেন জিয়া পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর ড: মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড: মো. লুৎফর রহমান, জিয়া পরিষদের মহাসচিব ড: মো.এমতাজ হোসেন, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক কামরুল আহসান, প্রফেসর ফিরোজা বেগম, বিএনপি নেতা মিহির, আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান, আবদুল হাকীম প্রমুখ।

rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin