অনেক ভাইরাসে আক্রান্ত সরকার : নজরুল

শুধু কোভিড-১৯ এ নয়, আরও অনেক ভাইরাসে সরকার আক্রান্ত হয়েছে বলে মন্তব‌্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, প্রতিটি ক্ষেত্রে যেভাবে দুর্নীতি-অনাচার ছড়িয়ে পড়েছে, সেই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সরকারের লোকজন, যারা দল করেন তাদের উচিত দুর্নীতিবিরোধী একটি ভাইরাস প্রতিরোধকারী মাস্ক পরা।

মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে অব্যাহতি ও সিলেটের এমসি কলেজে ন্যক্কারজনক ঘটনার প্রতিবাদে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন নজরুল ইসলাম খান।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন যোগ্য শিক্ষককে একটি নিবন্ধন লেখার অপরাধে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। একজন শিক্ষক যিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটা পোস্ট দিয়েছিলেন। এজন্য তার শুধু চাকরি যায়নি, তিনি এখন দেশে থাকতে পারেননি। একইভাবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার অসংখ্য মানুষ তার গণতান্ত্রিক মতপ্রকাশে কারণে এই সরকারের অনুগত প্রশাসনের ধারায় চাকরিচ্যুত কিংবা অন্যভাবে বিপদাপন্ন হয়েছেন।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যারা শ্রদ্ধেয়ও মানুষ বলে পরিচিত, তারা কোনো ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। কিন্তু তারা পারেন, যারা নামে শিক্ষক কিন্তু আসলে প্রশাসনের অনুগত ব্যক্তি।

ঢাবি ভিসির সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, এই ভিসি তো তিনি, যিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সরকারের ভাষায় ‘সন্ত্রাসী’ বলেছিলেন। তাদের কাছ থেকে সুবিচার আশা করার কোনো কারণ নেই।

তিনি বলেন, আমরা অসংখ্য সমস্যায় জর্জরিত। আজ করোনার ভয়ে আমরা মাস্ক পরে থাকি। এই ভয়ে আমরা একটা মাস্ক পরি। কিন্তু যারা সরকারে আছেন তাদের একটা নয় আরও বেশি মাস্ক পরা দরকার। কারণ তারা শুধু কোভিডে (করোনাভাইরাস) নন, আরও অনেক ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

দেশে দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বেলেন, ‘এদেশে দুর্নীতি-অনাচার আজ করুণ অবস্থায় চলে গেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলে আমরা ডিজি হতে চাই না আমরা ডিজির ড্রাইভার হতে চাই। এই বিশ্বের তিনজন ধনী ড্রাইভারের মধ্যে বাংলাদেশে একজন আছেন। এছাড়া প্রতিটি ক্ষেত্রে যেভাবে দুর্নীতি-অনাচার ছড়িয়ে পড়েছে, সেই ভাইরাস থেকে বাঁচার জন্য সরকারের লোকজন যারা দল করেন তাদের উচিত দুর্নীতিবিরোধী একটি ভাইরাস প্রতিরোধকারী মাস্ক পরা। দুটা মাস্ক হলেও কিন্তু হবে না।’

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, সম্প্রতি নারী নির্যাতন যেভাবে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে, নারী নির্যাতনের যে ভাইরাস সেটা থেকে বাঁচার জন্য এ সরকারের লোকজনের তিন নম্বর মাস্ক পরা উচিত। এই তিনটা মাস্ক পরলে ভাইরাস থেকে তারা কিছুটা বাঁচবেন আর লজ্জা থেকে বাঁচার জন্য মুখটা ঢেকে রাখতে পারবেন।

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, বিএফইউজের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin